এনজিনিউজ(নিজস্ব প্রতিনিধি) দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর উপর অবস্থিত উপজেলার ৩ লক্ষাধিক জনসাধারনের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্য ঝুকিপূর্ন ব্রীজটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরনিত হয়েছে। দেশ স্বাধীনের পুর্বে নির্মিত ব্রীজটি অনেক পুর্বেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। মাঝে মাঝে সংস্কার করে ব্রীজটি সচল রাখা হয়েছিল। কিন্তু ব্রীজটি সড়ক ও জনপদের অধীন যাওয়ায় সংস্কার কাজও বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। পুর্বে তেমন যান বহন চলাচল না করলেও ড. ওয়াজেদ সেতু নির্মান হওয়ার পর রংপুর থেকে হিলি স্থল বন্দর, জয়পুর হাট সহ বিভিন্ন স্থানে যানবহন চলাচল শুরু হয়। এছাড়া শীত মৌসুমে বেসরকারী পর্যটন কেন্দ্র স্বপ্নপুরীতে ও ভিন্ন জগতে এ ব্রীজ দিয়ে পর্যটদের ব্যপক যানবহন চলাচল করে। ব্রীজটি সরু হওয়ায় মাঝে মাঝে প্রায় ১ দেড় ঘন্টা যানজটের সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি ব্রীজটি মাঝামাঝি স্থানে ফাটল ধরে এবং ব্রীজের পাটাতনটি দেবে যায়। ফলে ব্রীজটি যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে এলাকাবাসী আশংকা করছে। ব্রীজটি দেবে যাওয়ায় উপজেলা প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যে প্রচারনার মাধ্যমে ভারি যান বহন চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে। কিন্তু এর পরেও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে ভারী যানবহন। রামপুর বাজার বাসিন্দা মোঃ মতিয়ার রহমান মহুরী জানান- ব্রীজটি দীর্ঘদিন যাবত ঝুকিপুর্ন অবস্থায় রয়েছে। সড়ক জনপদ একটি “ঝুকি পুর্ন ব্রীজ” সাইন বোর্ড ঝুলিয়ে দায় সেরেছে। ব্রীজটি এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিনিত হয়েছে। উপজেলার সদরের ব্যবসায়ী মোঃ মহিদুল ইসলাম জানান- ঝুকিপুর্ন ব্রীজটির কারনে সঠিক ভাবে যানবহন চলাচল করতে না পারায় ব্যবসার অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বজলুর রশীদ জানান- তিনি বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন। এলাকাবাসী বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুকি পুর্ন ব্রীজটি যত দ্রুত সম্ভব নির্মানে কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার দাবী জানিয়েছে ।
নবাবগঞ্জের করতোয়া ব্রীজে ফাটল ঝুকি নিয়ে যানচলাচল
Older Postনবাবগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন
মন্তব্য করুন