নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান। ঘন ঘন বৃষ্টিপাত আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ইটভাটা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৩০ কোটি টাকার ক্ষতির লোকসান গুনছেন ভাটা মালিকেরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গড়ে উঠেছে ব্যাঙের ছাতার মতো বৈধ-অবৈধ অসংখ্য ইটভাটা। ইট প্রস্তুতকরণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা ঝুঁকে পড়েছে লাভজনক এ পেশায়। ইট প্রস্তুতকরণের শুরু থেকেই আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় কাঁচা মাটি থেকে প্রায় ১শ কোটি ইট প্রস্তুত করেন ভাটা মালিকেরা। প্রথম দিকে চার পাঁচ রাউন্ড নতুন ইট ভাটা থেকে বের করে ব্যবসায়ীরা। দামও গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। উপজেলা সদরে রামপুর বাজারের ভাটা মালিক মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম জানান, ১নং ইট ৭ হাজার, ২নং ৬ হাজার, ৩নং ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। মাঝপথে অসময়ে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত আর বৈরী আবহাওয়ার প্রভাবে আগুনে পোড়ার আগেই পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে কাঁচা ইট। বর্তমানে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মজুদ পরিমাণ ইট না থাকায় অনেক ভাটার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে করে ভাটা মালিকেরা আর্থিক দিক থেকে লোকসানের হিসাব গুনছেন। নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, ফুলবাড়ি, পার্বতীপুর, চিরিরবন্দর এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকা। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আ.লীগ নেতা মো. হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা জানান, এ উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক। ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের খয়েরগুনি এলাকায় এমএইচবি ভাটায় ১০ লাখ, এবি ইট ভাটায় ২০ লাখ, এএমএফকে ১৫ লাখ সহ ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইট ভাটা মালিক নিজামুল হাসান শিশির, মশফিকুর রহমান, আজিজুল হক, আনোয়ার হোসেন, মাসুম বিল্লা, সোহেল রানা, শফিকুল ইসলাম ডলার তারা জানান, ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় তারা নতুন করে ইট প্রস্তুত করে ভাটা সচল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্থ ভাটা মালিকেরা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ইটভাটার তদন্ত করে সরকারিভাবে আর্থিক অনুদানের দাবি জানান।
মন্তব্য করুন