নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে মোঃ মাহাবুবুর রহমান ।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ , বিরামপুর , হাকিমপুর ঘোড়াঘাট উপজেলায় ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি বিক্রির হিডিক পডেছে। কৃষকদের অভাবের সুযোগে এসব মাটি কিনে নিয়ে ইট তৈরির কাজে লাগানো হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, মাটির উপরিভাগের ১০-১৫ ইঞ্চির মধ্যে উর্বরতা শক্তি থাকে। তাই এসব মাটি খুেঁড বিক্রি করার ফলে তা পুনরায় ফিরে আসতে ১০-১৫ বছর সময় লাগে। আর বারবার তা খোঁডা হলে এসব জমি ফসল উৎপাদনে স্থায়ীভাবে একেবারে অক্ষম হয়ে পডতে পারে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ও লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মাঠ থেকে আমন ধান ওঠার পরপরই ফসলি জমির মাটি বিক্রি শুরু হয়। আর এসব মাটি ট্রাকে ও ট্রলিতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। উপজেলায় বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে ৫০টি ইটভাটা রয়েছে।
মাটি বিক্রি করেছেন—এমন চার-পাঁচজন কৃষক জানান, ইটভাটায় মাটি সরবরাহের জন্য একশ্রেণির দালাল চক্র গ্রামে গ্রামে ঘুরে কৃষকদের মাটি বিক্রি করতে উৎসাহ জোগায় এবং স্বল্পমূল্যে উপরিভাগের এসব মাটি কেটে কিনে নেয়। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কথা না জেনে সহজ-সরল কৃষকেরা নগদ লাভের আশায় জমির মাটি বিক্রি করেন।
উপজেলার জুমারপাড়া গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক জানান আগে পতিত বা চাষ হয় না—এমন জমির মাটি নিচু জায়গা ভরাট, রাস্তা উঁচু বা নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য কেটে নেওয়া হতো। আবার অনেকে পুকুর কাটার মাটি দিয়ে এসব কাজ করতেন। এখন ইটের ভাটায় মাটির চাহিদা বেডে যাওয়ায় ফসলি জমির মাটি বেচাকেনা হচ্ছে দেদার। আসলে তাঁরা এসব ক্ষতির বিষয়টি জানেন না বলেই মাটি বিক্রি করছেন।
মন্তব্য করুন