নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকেমোঃ মাহাবুবুর রহমান ,
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ও পার্শ্ববর্তী রংপুরের পীরগঞ্জ মিঠাপুকুর তিন উপজেলা ঘেষে বয়ে গেছে করতোয়া নদী। খনন আর সংস্কারের অভাবে নদীর প্রবাহমান স্তর অনেকটা কমে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বন্যার পানিতে নদীটি ভরে যায়। এর কারনে নদীর তীর সংলগ্ন শত শত বিঘা কৃষি জমির ফসল পানিতে নষ্ট হয়ে যায়। আবার বর্ষা মৌসুম শেষে শুকনো মৌসুম আসলে দুই ধারের কৃষি জমিগুলো আবাদের উপযোগী হয়ে পড়ে। উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকা কৃষকেরা জানান, করতোয়া নদীতে ড. ওয়াজেদ মিয়া সেতু সংলগ্ন নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রেখে ওই পানি দিয়ে শুকনো মৌসুমে রবি ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দীর্ঘদিনের দাবি ছিল করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপনের। পানি উন্নয়ন বোর্ড দফায় দফায় ভাংগন রোধে তদন্ত করেছে। রাবার ড্রাম স্থাপন হলে কৃষি ফসল উৎপাদনে সুযোগ পাবে কৃষকেরা। অপরদিকে ভাংগন রোধও কমে যাবে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মো . আসাদুজ্জামান জানান, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করা হলে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সহ রংপুরের পীরগঞ্জ ও মিঠাপকুর উপজেলার শত শত ক্ষুদ্র প্রান্তিক শ্রেনির কৃষকেরা উপকৃত হবে। তিনি জানান , বিষয়টি দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. শিবলী সাদিককে জানানো হয়েছে। বিনোদনগর গ্রামের কৃষক মো. বাবুল মিয়া , মোজাহার আলী, আজিজার রহমান, আফজাল হোসেন প্রাণকৃষ্ণপুর গ্রামের রেজাউল করিম রাসেল আহমেদ তারা জানায়, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপন করার জন্য কর্তৃপক্ষ যেন ব্যবস্থা নেয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মশিউর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, করতোয়া নদীতে রাবার ড্রাম স্থাপনের জন্য তিনিও কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন। করতোযা নদী মহাস্থানগডরে কাছে করতোযা নদী মহাস্থানগডরে কাছে করতোযা নদী দশ বাংলাদেশ অঞ্চল রাজশাহী বিভাগ জেলাসমূহ রংপুর জেলা, দিনাজপুর জেলা, বগুডা জেলা, গাইবান্ধা জেলা উত্স দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী মোহনা বাঙালি নদী দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার (৭৬ মাইল) করতোযা নদী বা করতোযা নিম্ন নদী বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর, দিনাজপুর, বগুডা ও গাইবান্ধা জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১২২ কিলোমিটার, গড প্রস্থ ১৪৪ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার। বন্যাপ্রবণ নদীটির প্রবাহের প্রকৃতি বারোমাসি এবং নদীতে জোযারভাটার প্রভাব নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নযন বোর্ড বা “পাউবো” কর্তৃক করতোযা (নীলফামারী) নদীর প্রদত্ত পরিচিতি নম্বর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী নং ১৪। পরিচ্ছেদসমূহ ১ প্রবাহ ২ তীরবর্তী স্থাপনা ৩ অববাহিকার প্রকল্প ৪ চিত্রশালা ৫ আরও দেখুন ৬ তথ্যসূত্র ৭ বহিঃসংযোগ প্রবাহ করতোযা নিম্ন নদীটি রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার মিলনপুর ইউনিযনে প্রবহমান দেওনাই-চাডালকাটা-যমুনেশ্বরী নদী থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। এই নদী ক্রমান্বযে মিঠাপুকুর, নবাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঘোডাঘাট, পলাশবাডী, গোবিন্দগঞ্জ, শিবগঞ্জ, বগুডা সদর, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলায পৌঁছেছে। অতঃপর এই নদীর জলধারা বগুডা জেলার উক্ত উপজেলার খানপুর ইউনিযন পর্যন্ত প্রবাহিত হযে বাঙালি নদীতে নিপতিত হযেেছ। তীরবর্তী স্থাপনা এই নদীর তীরে যেসব শহর গডে উঠেছে সেগুলো হচ্ছে বগুডা পৌরসভা, শেরপুর পৌরসভা, শিবগঞ্জ পৌরসভা, গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা এবং ঘোডাঘাট পৌরসভা। এই নদীতে ব্যারাজ বা রেগুলেটর এবং বন্যা নিযন্ত্রণ বাঁধ নেই। অববাহিকার প্রকল্প এই নদী অববাহিকার প্রকল্প হচ্ছে ইছামতি গজারিযা উপপ্রকল্প, নুরুলার বিল নিষ্কাশন প্রকল্প, নালেযা নদী প্রকল্প, গাংনাই নদী ব্যবস্থাপনা এবং শাওরা বিল নিষ্কাশন প্রকল্প।
মন্তব্য করুন