ঘোড়াঘাট থেকে শফিকুল ইসলাম শফিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় চলতি ইরি বোরো মৌসুমে শুরুতে এবার ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সাথে কিছু কিছু এলাকায় পাল্লা দিয়ে শীল পড়ার কারণে কৃষকদের চোখে মুখে আতংক দেখা দিয়েছে। ইরি বোরো ধানের শীষ ইতিমোধ্যে বের হয়ে সোনালী রুপ ধারন করেছে। জমিতে শীষ দেখে কৃষকদের একচোখে যেমন ভাল ফলন হবে এমন বুক ভরা সোনালী স্বপ্ন, ঠিক তেমনি অন্য চোখে ফুটে উঠেছে আতংকের ছাপ। তবে সামনে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার লক্ষ্যমাত্রার চাইতে ধানের অনেক বেশি ফলন হবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। জানা গেছে চলতি ইরি বোর মৌসুমে উপজেলায় ইরি বোরো ধান চাষে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক ফলন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এ মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ১২হাজার পাঁচশত জমিতে ইরি বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকেরা। সঠিক সময়ে চারা লাগানো, নিবিড় পরিচর্যা, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, যথা সময়ে সেচ দেওয়া, সার সংকট না থাকায় এবং মাঠ পর্যায়ে থাকা উপজেলা কৃষি অফিসে সার্বক্ষনিক তদারকির কারণে ফলন ভাল হবে বলে মনে করছেন এলাকার কৃষকেরা। কিন্তু এবার চৈত্র মাসে মাঝা মাঝি থেকে শুরু করে বেশ কয়েক দফা কাল বৈশাখীর ছোবল, বাতাস ও বৃষ্টি পাতের সাথে পাল্লা দিয়ে কিছু কিছু এলাকায় শীল পড়ার কারণে চরম আতংকে রয়েছেন কৃষকেরা। তাছাড়া এবার আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় ফসলের জমিতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিয়েছে।
তবে আগামীদিন গুলোতে যদি আর কোন বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে না পড়তে হয় তাহলে ফসলের এ সামান্য ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে বলে আশা করছেন এলাকার কৃষকরা। উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের বৈদড় গ্রামের তিতাশ চন্দ্র জানান চলতি ইরি বোরো মৌসুমে ৫ বিঘা জমিতে ধান রোপন করেছি। বর্তমানে ধানের অবস্থা দেখে খুব ভাল লাগলেও মৌসুমের শুরুতে যে ভাবে কাল বৈশাখীর ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়েছিল সে কারণে চরম আতংকে রয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান, উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় লক্ষমাত্রার চাইতে বেশি পরিমান জমিতে ইরি বোরো ধান রোপন করেছেন কৃষকেরা। কৃষি অফিসের জোরালো তদারকি কৃষকদের সঠিক পরিচর্যা এবং রোগ বালাইয়ের তেমন প্রকোপ না থাকায় জমিতে আলোর ফাঁদ এবং বোরো ক্ষেতে কঞ্চি ও গাছের ডাল পুতে পাখি দিয়ে পোকামাকড় দমনে কৃষকদের উৎসাহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন