নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) মোঃ হাফিজুর রহমান মিলন ও মাহাবুবুর রহমান,
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ উৎসবে উত্তর জনপদের পর্যটকদের আকর্ষন সৃষ্টি করবে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার আশুড়ার বিলের নির্মানাধীন আঁকাবাঁকা কাঠের সেতু। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মশিউর রহমান উপজেলার যোগদান করার পর থেকেই দেশের ঐতিহ্যবাহি জাতীয় উদ্যান ঘেষা আশুড়ার বিল রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর মনমাতানো নান্দনিক এই বিলটির বর্ষা মৌসুমে দেশি প্রজাতির মাছ, হারিয়ে যাওয়া জাতীয় শাপলা ফুলের বিস্তর সব মিলেই পর্যটকেরা এখানে আসলে বারবার আসতে চাবে। বিলটির গুরুত্ব তুলে ধরতে নির্বাহী অফিসার নেন একের পর এক উদ্যোগ। শাপলা ফুলের বংশ বিস্তারে ফুলের চারা রোপন আশুড়ার বিলের ধারে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা লাগানো , জাতীয় উদ্যানের শাল গাছে পাখির অভয়াশ্রমের জন্য মাটির হাড়ি ঝুলিয়ে পাখির আবাসস্থানের ব্যবস্থা করণ সহ আধুনিকায়নে নেয়া হয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। পর্যটকদের আকর্ষনে কাঠের আঁকাবাঁকা সেতুটি নির্মান থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারে মুগ্ধ হয়েছে দেশের পর্যটকরা। দিনাজপুর সামাজিক বন বিভাগের চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার জানান সেতুটির সিংহভাগ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। ঈদ আনন্দে পর্যটকরা এখানে আসতে পারবে। এছাড়াও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দিনাজপুরের পক্ষ থেকে উন্নতমানের ল্যাটি্ন , বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা , সহ বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম জানান অবহেলিত বিলটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা প্রশংসার দাবিদার। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা সরকারি প্রাথমিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারন সম্পাদক পানিয়া ধর্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মোঃ মশিহুর রহমান জানান , দীর্ঘদিন পর আশুড়ার বিলের দৃশ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে এতে করে একদিকে বিলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে অপরদিকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে আসবে। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান পর্যটকরা নিরাপদে এখানে আসতে পারবে। আসার পথ দেশের যে কোন জেলা থেকে বিরামপুর ঢাকা মোড় এসে নবাবগঞ্জ রোডে শওগুনখোলা গ্রামের আদর্শ ক্লাব থেকে উত্তর দিকে আড়াই কিলোমিটার জাতীয় উদ্যান শালবনে ভিতর দিয়ে রাস্তা দিয়ে যেতে হবে। আশুড়ার বিল থেকে আবার শালবনে মধ্য দিয়ে নবাবগঞ্জ সদরে তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে উপজেলা সদরে আসা যাবে।
মন্তব্য করুন