নবাবগঞ্জে আত্মহত্যার প্রবনতা বেড়েই চলেছে I

Spread the love


নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিষ পানে আত্মহত্যার প্রবনতা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত সোমবার দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের মনিরামপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের স্কুল পড়–য়া মেয়ে হাবিবা খাতুন (১৬) শয়ন ঘরে বিষ পান করে আতœহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দিনাজপুর এর মর্গে ময়নাতদন্তের জণ্য প্রেরণ করা হয়েছে।
অপরদিকে গত ২০ ই মে উপজেলার নলেয়া গ্রামের আবু সাইদের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন (১৪) রবিবার সকাল ৮.৩০ মিঃ নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।সুমাইয়ার নানি হাফেজা বলেন, আমি সকালে সুমাইয়াকে রেখে চুল ছেড়া গার্মেন্সে গিয়েছিলাম, প্রতিদিন সে প্রাইভেট পড়তে যেত।আজকেও তার বান্ধবীরা প্রাইভেট পড়ার জন্য তাকে ডাকতে আসে।এসে দেখে গালায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের বর্গার সাথে ঝুলিয়ে আছে। এমন্তাবস্থায় তার বান্ধবীরা চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ও আমি এসে মাটিতে নামিয়ে দেখি সে মারা গেছে। মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রহিম বাদশা জানান, সুমাইয়া দরিদ্রতার মাঝেও নানির বাড়ি থেকে পড়াশুনা করতো। সে নলেয়া নিম্ন মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার মা ঢাকায় গার্মেন্সে চাকরি করেন।সুমাইয়া খুব ভালো ছাত্রী কি কারনে সে এমন ঘটনা ঘটালো কেই বলতে পারছেনা। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানা একটি অসাভাবিক মৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ মৃত্যুর প্রকৃত কারন উদঘাটন করতে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরন করেছে। থানা অফিসার ইনর্চাজ সুব্রতু কুমার সরকার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এসআই সুপ্রভাত বলেন, এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা পোস্ট মডেম করলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।