পারভেজ রানা, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দে ১৪ কিলোমিটার মাহিলা নদী খনন কাজের মাটি কাটার (ভেপু মেশিন) রাতের আঁধারে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। খনন কাজের ঠিকাদারের ম্যানেজার লুৎফর রহমান জানান- ঘোড়াঘাট উপজেলার পাবর্তীপুর থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের দারিয়া পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার নদী খননের কাজ চলছিল। মোগরপাড়া গ্রামে খনন স্থানের নিকটে থাকা ৭টি ভেপু মেশিনের মধ্যে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে কে বা কারা একটি ভেপু মেশিনে পেট্রল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে ৮নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রহিম বাদশা জানান- নদী খননের সময় মোগরপাড়াসহ আশপাশ গ্রামের প্রায় ৫১ জন কৃষক তাদের নামীয় রেকর্ডীয় জমিতে খনন কাজ করা হচ্ছিল। এমন বিষয়ে এলাকার কৃষকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। এদিকে এক রাত পরেই ভেপু মেশিনে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুস্কৃতিকারীরা। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মশিউর রহমান জানান- কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে খনন করা জায়গাটি স্থানীয় তহশিলদার ও ইউপি চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নদী খনন কাজে ঠিকাদার সঞ্জয় রায় জানান- উদ্বোধনের পর থেকেই কাজটিতে বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন তিনি। উদ্বোধনের পর মারামারির ঘটনায় ঘটে। নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান- সে সময় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলাও নিয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে মামলা দুটি সঠিক ও নীরপেক্ষ তদন্তের জন্য দিনাজপুর ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভেপু মেশিন আগুনে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় লিখিতভাবে কোন অভিযোগ পাননি বলে অফিসার ইনচার্জ জানান। এ ঘটনায় ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের প্রবীন আ’লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান দুদু জানান- সরকারের উন্নয়ন মূলক খনন কাজে যে বা যারাই বাঁধা বা অঙ্গিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রশাসন যেন তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
মন্তব্য করুন