শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন ।

Spread the love

শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন ।
>লেখার শুরুতেই আগে জেনে নেই কুরআন শব্দের শাব্দিক অর্থ , কুরআন শ্বদটিকে দুই ভাগ করলে প্রথমে আসে “কুর “যার শাব্দিক অর্থ পঠিত , আর দ্বিতীয় ভাগে হয় “আন” যার শাব্দিক অর্থ বারবার,। সুতরাং কুরআন শব্দের অর্থ দাড়ায় বারবার পঠিত ।অর্থাৎ যে গ্রন্থ একবার, দুইবার কিংবা তিনবার বা বহুবার পড়ার পরেও এর নতুনত্বের শেষ হয় না । পৃথিবীতে আর যত গ্রন্থই থাকুক না কেন তিনবারের বেশী পাঠ করলে চতুর্থবার পড়ার ইচ্ছা থাকেনা , কিন্তু কুরআন যতবারই পড়ুন না কেন ? যদি আপনি জ্ঞান অন্বেষনের ইচ্ছায় পড়েন যতই পড়িবেন ততই শিখিবেন এবং ততই মজা পাবেন ।
এই মহা গ্রন্থটি হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বয়স যখন ৪০ বছর ০৬ মাস ০৮দিন অর্থাৎ ০৬ আগষ্ট ৬১০ খ্রিঃ, ১৭ই রমজান রোজ সোমবার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর উপর সুরা আলাকের প্রথম ০৫ আয়াত দ্বারা কুরআন অবতীর্ণ হওয়া শুরু হয় , এবং দীর্ঘ ২৩ বছরে সমাপ্ত হয় ।
শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কেন হলো :-
এমন প্রশ্ন আপনার আমার সবারই ছিলো , এবং আছে বা থাকবে , কারণ পৃথিবীতে অনেক অনেক বড়বড় গ্রন্থ আছে বিভিন্ন ধর্মের যেমন বাইবেল, ত্রিপিটক, রামায়ন, মহাভারত কিংবা বড়বড় নভেল নাটক সাহিত্যিকের বিশাল বিশাল সাহিত্য । লেখার পর লেখখগণ! ভূলত্রুটির জন্য পাঠকের কাছে অজ্ঞাত ভূলের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন । কিন্তু পৃথিবীতে কুরআনই একমাত্র গ্রন্থ যে গ্রন্থের লেখক পাঠকের কাছে ভূলত্রুটির জন্য ক্ষমা চাওয়া তো দুরের কথা , তাঁর লেখা সম্পর্কে পাঠকের কাছে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছেন “এইগ্রন্থে কোন প্রকার ভূলভ্রান্তি নাই, এবং কোন প্রকার সন্দেহেরও অবকাশ নাই “ (সুরা বাকারা আয়াত নং ০২ ) ।
সত্যিই এই গ্রন্থ প্রায় চৌদ্দশত বছর পূর্বে এই পৃথিবীতে প্রকাশিত হয়েছে । আজ পর্যন্ত কোন পাঠক, কোন পন্ডিত, কোন খ্যাতনামা দার্শনিক এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার সাহস পায় নাই ।যখন কেহ দুঃসাহস নিয়ে এ গ্রন্থের সমালোচনা কিংবা ভূল বের করার জন্য প্রতিটি দাঁড়িকমা, কিংবা বর্ণের পিছু নিয়ে গভির ভাবে পড়ার চেষ্টা করেছেন সেই পন্ডিত এই গ্রন্থের প্রেমে পড়ে কুরআন-এর প্রশংসায় পঞ্চমূখর হয়ে পৃথিবীতে নতুন ভাবে আত্ম প্রকাশ হয়েছেন ।
পৃথিবীতে অনেক অনেক গ্রন্থ আছে যা কুরআনের মত এতো সর্ব বিষয়ে সর্বদিকে আলোচনা নেই কি! রাজনীতি, কি! সমাজনীতি , আর কি ! পররাষ্ঠ্রনীতি একজন মানুষের জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত তার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন,সামাজিক জীবন, রাষ্টীয় জীবন সব বিষয়ে নিখুত ও নির্ভূলভাবে লিপিবদ্ধ আছে, যা অন্য কোনও গ্রন্থে এতো কিছুর সমাহার নেই ।
মানুষ আল্লাহ পাকের সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ জীব । তাই আমরা মানুষ জাতি। যে, যে ধর্মের অনুসারী হউক না কেন ! আল্লাহ পাক সমস্ত মানুষকে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন । (মুসলিম , হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ঠান) যারা তাঁর এই দিক নির্দেশনায় সাঁড়া দিয়েছেন, তাদের কে আবার আলাদাভাবে মুত্তাকি সম্বোধন করে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন । এটাও একাট শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হিসেবে আল-কুরআনের বৈশিষ্ঠ ।
আমরা মানুষ জাতি যখন হতে হাতে কলমে পড়া লেখা শিখেছি বহু লেখকের বহু লেখা পড়েছি । সে লেখা বা সে পড়ায় আমরা মানুষ হিসেবে কতটুকু মনুষ্যত্ব পেয়েছি তা হয়তো ।আমি বলতে পারবোনা, সত্যিই কিন্তু সে পড়া পারলৌকিক জীবনের জন্য ০% (শূন্য পার্সেন্ট) এর উপকারও হয়নি , তা জোরকরে হলফ করে বলতে পারবো । আর কুরআন যদি কেহ বুঝে পড়ে কিংবা পবিত্র গ্রন্থ মনে করে না বুঝে পড়ে তাহলে তার আমল নামায় প্রতিটি বর্ণের বিনিময়ে দশ দশটি করে নেকি লেখাহবে ।” (আল-হাদিস ) । যা আপনার আমার পারলৌকিক জীবনে একমাত্র পাথেও হবে ইনশাআল্লাহ ।দুনিয়াতে কুরআন ছাড়া আর কোন গ্রন্থ আছে বলে আমার জানা নাই , যা পড়লে বা পাঠ করলে ইহোলৌকিক এবং পরলৌকিক দুই জীবনের কল্যাণ সাধন করতে পারে ।
এখানে দুই জন অমুসলিম পন্ডিতের কথা উল্লেখ করছি –
কেবল মাত্র কুরআনই এমন একখানা গ্রন্থ যাতে তেরশত বছরের ব্যাবধানেও কোন পরিবর্তন ঘটেনি ।ইহুদিও খিৃষ্টান ধর্মের এমন কোন নির্ভরযোগ্য ধর্ম গ্রন্থ নেই যা আদৌ কোন দিক থেকে কুরআনের সমকক্ষ হতে পারে । ( প্রসিদ্ধ খৃষ্টান ইতিহাসবিদ মি: বাডলে )
দুনিয়ার কোন গ্রন্থই কুরআনের ন্যায় বেশী পাঠ করা হয় না । বিক্রির দিক দিয়ে হয়তো বাইবেল সংখ্যায় বেশী হবে । কিন্থু মুহাম্মাদের কোটি কোটি অনুসারীরা যেদিন থেকে কথা বলার ক্ষমতা অর্জন করে, সেদিন থেকে দৈনিক পাঁচবার কুরআনের দীর্ঘ দীর্ঘ আয়াত সমূহ পাঠকরা শুরু করে ।” (চার্লসফ্রান্স পুটার ,)
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় পৃথিবী শুরু হতে কিয়ামত পর্যন্ত যদি মহা শ্রেষ্ঠ কোন গ্রন্থ থাকে, তবে সেটিই হচ্ছে আল-কুরআন । (সংক্ষিপ্ত)


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।