ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) সংবাদদাতা ঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমণ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা থাকলেও কৃষকদের চিন্তিত করেছে কালো ইঁদুর। কৃষকের কষ্টের আমণ ধানের ক্ষেত কেটে সাবার করেছে ইঁদুরের দল। কৃষকরা ধান ক্ষেত থেকে ইঁদুর দমনে জমিতে নানা পদ্ধতি ব্যবহার করেও কুল কিনারা পাচ্ছে না। এ অবস্থায় অনেকে ইঁদুরের উপদ্রব থেকে ফসল বাঁচাতে ক্ষেতে খুঁটির সঙ্গে পলিথিন বেঁধেছে। এতে বাতাসে পলিথিনের ফরফর শব্দে ভয় পেয়ে ইঁদুর পালিয়ে যায়। কিন্তু এতেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষকরা। ৭/৮জন কৃষক জানান, ধানের গাছে শীষ আসা শুরু থেকে কাটা মাড়াইয়ের আগে ক্ষেতে বেশি আক্রমণ চালায় ইঁদুরের দল।
ইঁদুর ধান গাছের গোড়া কেটে গর্তে ভরে রাখে। এছাড়া জমিতে পানি কম থাকলে আগে থেকে গর্ত খুরে বাসা বাঁধে। ইঁদুরের অত্যাচারে কৃষকরা আমণ ধান ঘরে তুলতে হিমশিম খায়। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা সত্বে বলেন, কৃষি অফিস থেকে প্রতি বছর ইঁদুর দমনে ইঁদুর নিধন কর্মসূচী পালন করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। স্থানীয় রামেশ্বরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকরা ফসল বাঁচাতে জমিতে খুটির সঙ্গে পলিথিন বেঁধে ইঁদুর তাড়ানোর চেষ্টা করছে। গোপালপুর, ওমরপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান জানান, প্রতিদিন ইঁদুর ধানের চারা কেটে সাবার করছে। উপায় না পেয়ে জমিতে খুটি পুঁতে পলিথিন বেঁধে দিয়েছে। বাতাসে পলিথিন ফরফর শব্দ করে উড়ে। এতে ভয় পেয়ে ইঁদুর পালিয়ে যায়। সব এলাকায় উৎপাত করছে ইঁদুরের দল।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন জানান, ধান ক্ষেতে কালো ইঁদুরের আক্রমণ বেড়েছে। ফাঁদ পাতা ছাড়া এদের ধরা যায় না। কৃষকদের কলাগাছ পুঁতে খুটির সঙ্গে পলিথিন বেধে রাতে টিন দিয়ে প্রচন্ড শব্দ করে ও গাটার বিস্ফোরন ঘটিয়ে ইঁদুর তাড়ানোর পদ্ধতি বেছে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন