ঘোড়াঘাটে পাট কাঠি দিয়ে পাটের লোকসান পোষানোর চেষ্টা I

Spread the love

 

ঘোড়াঘাট থেকে মোঃ শফিকুল ইসলামঃ
পাটে এ বছর লোকসান হচ্ছে জানিয়ে ঘোড়াূঘাট উপজেলার কৃষকরা বলছেন, তারা এখন পাট কাঠি বেচে লোকসান পোষানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, চাষীরা আঁশ ছাড়ানোর পর পাট কাঠি আর আগের মত অযত্ন অবহেলায় ফেলে রাখছেন না। যত্ন করে গুছিয়ে রাস্তার ধারে ও অন্যান্য ফাঁকা জায়গায় শুকিয়ে নিচ্ছে। ঘোড়াঘাট উপজেলার কুলানন্দপুর গ্রমের পাট চাষি মনিরুজ্জামান জানান, আগে মানুষ স্থানীয় ভাবে রান্নার খড়ি ঘরের বেড়া, পানের বরজে ছাউনী দিতে কাজে লাগাতো এই পাট কাঠি। এখন পার্টিকেল বোর্ড তৈরীতে ব্যবহৃত হওয়ায় ব্যাপারীরা এসে এ পাট কাঠি কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও বিভিন্ন হাট বাজারে বসবাসরত পরিবারগুলো জ্বালানীর জন্য গ্রাম থেকে পাট কাঠি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। পাটের আঁশ নিয়ে হতাশার মধ্যে পাট কাঠি নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অনেক কৃষক। ঘোড়াঘাট উপজেলার ভর্না পাড়া গ্রামের আজিজার রহমান বলেন, পাট চাষে যে টাকা খরচ হয়েছে আঁশ বেচে তা ফেরত আসছে না। এখন পাট কাঠিই শেষ ব্যবসা। যদি তাতে কিছু হয়। ঘোড়াঘাট উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান পাট কাঠি বিক্রি করে লোকসান পুষিয়ে নেয়া সম্ভব। এখন দেশের বরিশাল দাউদকান্দি ভোলা সহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টিকেল বোর্ড কারখানায় এ কাঠি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া পানের বরজে এটা খুবই দরকারি। এ বছর ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। যা গত বছরের তুলনায় বেশী। কৃষকরা এখন পাট চাষে অনেকটাই আগ্রহী হয়ে উঠছে। পাট কাঠির দাম সম্পর্কে কুলানন্দপুর গ্রামরে সেকেন্দার আলী বলেন, একটি তোড়া ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করছে। প্রতিটি তোড়াই ১’শ থেকে দেড়শ মোটা চিকন কাঠি থাকে। তিনি বলেন, দুরের ব্যাপারীরা ট্রলি নিয়ে গ্রামে এসব পাট কাঠি কিনে নিয়ে যায়। এখন অনেকেই এ ব্যবসায় জুড়ে পড়েছে। পাট কাঠি নতুন সম্ভাবনা দেখিয়েছেন বলে মনে করেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন কিভাবে এর ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তাও আমরা খুঁজছি। সোনালী আঁশের রুপালী কাঠি এখন কৃষককে নতুন আলো দেখাচ্ছে। পাটকল মালিক চেম্বার নেতারা এটিকে প্রাধান্য দিলে এটিও একটি অর্থকরী ব্যবসা হিসেবে পরিনত হবে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।