ঘোড়াঘাটে দিন দিন বাড়ছে কেঁচো কম্পোষ্ট সারের ব্যবহার I

Spread the love


মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘোড়াঘাট ঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষি জমিতে দিন দিন বাড়ছে জৈব বা কেঁচো কম্পোষ্ট সারের ব্যবহার। বর্তমানে কৃষকরা অনেকটাই সচেতন হয়ে উঠেছে। রাসায়নিক সার ব্যবহার করে উৎপাদিত ফসল ও খাবার খেয়ে মানুষের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।তবে সুস্থ্য থাকতে হলে প্রযোজন নিরাপদ খাদ্যের। সেই দিক থেকে বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনে জৈব সারের বিকল্প নেই। রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারের ব্যবহারে ফসল উৎপাদন ভাল হয়। তাছাড়া অর্থের সাশ্রয় হয়। সে কারণে কৃষকরা রাসায়নিক সারে পরিবর্তে কৃষি জমিতে জৈব বা কেঁচো কম্পোষ্ট সার ব্যবহার করছেন। এর আগে উপজেলা কৃষি বিভাগ রাসায়নিক সারে পরিবর্তে জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন।সেই লক্ষে উপজেলার ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রজেক্ট ফেজ-টু (এনএটিপি-২) এর আওতায় গঠিত মহিলা সি আই জি দলের ৩০ জন চাষিকে কেঁচো কম্পোষ্ট সার তৈরীরর প্রক্ষিণ দেওয়া হয়।এছাড়াও উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৪০টি সিআইজি দল গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৬টি পুরুষ দল ও ১৪ টি মহিলা দল। এদের জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগ। জমিতে কেঁচো কম্পোট সার ব্যবহার করে তারা সাফল্য পেয়েছেন। তাদের সাফল্য দেখে উপজেলার অন্য কৃষকরাও তাদের জমিতে জৈব সার ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এতে ফসলের উৎপাদন তুলনামূলক ভাবে বেশী হচ্ছে। ফলে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে বাড়ছে জৈব সার বা কেঁচো কম্পোষ্ট সারের ব্যবহার। উপজেলার ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের ঘুঘুরা গ্রামের আর্দশ কৃষাণী মোছাঃ মেহেরুন বেগম জানান প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর তিনি কেঁচো কম্পোষ্ট সারের ব্যবহার করে সবজি চাষ করে। এতে তার জমিতে ফলন ভালো হয়। বর্তমানে সবজি চাষের পাশাপাশি বোরো ধান ক্ষেতে এই সার ব্যবহার করছেন। অপর এক কৃষাণী মোছাঃ মাহফুজা বেগম জানান জৈব বা কেঁচো কম্পোষ্ট সার উৎপাদন করে তার ফসলের জমিতে ব্যবহার করছেন ও বাড়তি সার ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। এতে তিনি ভাল মুনাফা অর্জন করছেন বলে জানান। কৃষি অফিসের তথ্য মোতাবেক কেঁচো কম্পোষ্ট সারে নির্দিষ্ট পরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ, সালফার, ম্যাগনেশিয়াম, বোরন, জৈব কার্বন ও পানি থাকে। যা মাটির জন্য খুবই উপকারী। উপজেলা কৃষি অফিসার এখলাস হোসেন সরকার জানান কেঁচো কম্পোষ্ট বা জৈব সার ব্যবহারে ভাল ফলন হয়। বেশী মুনাফা অর্জন করা যায়। তাছাড়া মাটির গুণাগুন ভাল থাকে এবং মাটির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায় এই উপজেলার জমিতে জৈব সার বাড়ানোর ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।