নবাবগঞ্জ নিউজের পক্ষ হতে অত্র অনলাইন পত্রিকার পাঠক, সংবাদবাহক, হিতাকাঙ্খি,গুনগ্রাহী, শুভাকাঙ্খি, উপদেষ্টামন্ডলী ও বিশ্বের সকল ধর্মপ্রান মুসলিম নর-নারী ভাই-বোনদের প্রতি পবিত্র মাহে রমদানের শুভেচ্ছা রইল ,সেইসাথে->
মাহে রমদান পূর্ণ মর্যাদা সহকারে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও তাক্বওয়ার সাথে পালন করার জন্য সকল মুসলিম ভাই – বোনদের প্রতি আহ্বান ।
মাহে রমদানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়া ভিত্তিক চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মগঠনের জন্যে সযত্ন সহকারে রোযার মধ্যে আত্বনিয়োগ করা প্রতিটি মুসলমান নর-নারীর একান্ত কর্তব্য ।ইসলামের পঞ্চভিত্তির তৃতীয় ভিত্তি হলো রোযা, প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমান নর-নারীর প্রতি মাহে রমদানের রোযা পালন করা ফরজ। একজন মুসলমানের জন্য নামাজ যেমন ফরজ, ঠিক তেমনিভাবে রমদান মাসের রোযা পালন করাও ফরজ কেননা আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনুল কারীমে বলেছেন – হে ঈমানদারগন তোমাদের উপর রোযা ফরজ করা হলো , যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর করা হয়েছিল ।যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো ।(সুরা বাকারা আয়াত নম্বর ১৮৩,
“রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে মাহে রমযান আবার সমাগত। পবিত্র এ রমযান মাস কুরআন নাজিলের মাস। পবিত্র কুরআন মানবতার মুক্তির সনদ। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ নাজাতের। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; আর ১টি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস। এ মাসটি পূর্ণ মর্যাদা সহকারে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও তাক্বওয়ার সাথে পালন করা আবশ্যক ।
পবিত্র কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমযান মাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা সম্ভব। কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য যে মনমানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র সৃষ্টির জন্য আল্লাহ তায়ালা মাহে রমযানের রোযা পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। এক মাসব্যাপী রোযা পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ।
রমযানের পবিত্রতা রক্ষা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব সকল ঈমানদার লোকের এবং বিশেষভাবে সরকারের। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনগণ অতিষ্ঠ। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে মানুষের জানমাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের।
রোযাদারদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে অধিক মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করে ব্যাবসা চালানো প্রত্যেক আল্লাহভিরু ব্যাবসায়ীর একান্ত উচিত । আশাকরি বিশ্বের চলমান ভয়াবহ মহামারী করোনা ভাইরাস এইরহমতের মাসের ওছিলায় আল্লাহ তায়ালা শেফা দিবেন । ইন্শাআল্লাহ ।
সম্পাদক, নবাবগঞ্জ নিউজ ।
মন্তব্য করুন