নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)থেকে সৈয়দ হারুনুর রশীদ।
নবাবগঞ্জে ধানের জমির আইলে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতক শিশু কন্যাটিকে শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেলনা।নব জাতকটির কে পিতা কে মাতা কি-বা তার ধর্ম সব কিছুই ছিল অজানা।শনিবার ২ মে বিকেল ৫ টায় নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া ইউনিয়নের লাঠিদাম নামক স্থানে ক্ষেতের ফসল দেখতে গিয়ে কুড়িয়ে পেয়েছিল স্থানীয় ২ কৃষক। পরে ঠাঁই হয়েছিল তার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট। মানবিকতার স্বার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তত্বাবধানে ওই নবজাতককে নিয়েই ব্যস্ত ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার থেকে শুরু করে চিকিৎসক পর্যন্ত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সবাইকে কাাঁদায়ে চলে গেল।কুড়িয়ে পাওয়ার পর নবজাতক শিশুটিকে ভাদুরিয়া ইউ,পি সদস্য হারুনুর রশিদ নিজের হেফাজতে নিয়ে বিষয়টি নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহারকে অবহিত করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার মায়ের স্নেহে নব জাতকটিকে চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সাদিয়া কাশেম সাফা জানালেন, একটি স্বাভাবিক নবজাতকের ওজন থাকে প্রায় আড়াই কেজির উপরে। সেখানে ওই নবাজাতকটির ওজন ছিল মাত্র ১ কেজি ২০০ গ্রাম। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহারের নিকট নবজাতকটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ভারাক্রান্ত কন্ঠে জানালেন নব জাতকটিকে বাঁচানো যায়নি। রবিবার সকাল ৭ টার দিকে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে(ইন্নালিল্লাহে—রাজেউন)। দুপুরে নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পিছনে সরকারী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।#
মন্তব্য করুন