ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে মোঃ শফিকুল ইসলামঃ
করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশে গোটা দেশ লক-ডাউন। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। এই সংকটময় মূহুর্তে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার মানুষের পাশে থেকে দিনরাত ক্লান্তিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়াহিদা খানম। এ যেন প্রতিনিয়ত করোনার সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন তিনি।তিনি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত, অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো, দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি ও আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা, ৩৩৩ ডিজিটাল তথ্য সেবার মাধ্যমে এ উপজেলায় ১৩৭ জন সেবা গ্রহীতাকে সঠিক সময় খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো, ক্ষুধার্ত কুকুর ও বিড়ালের খাবার ব্যবস্থা করা, মানুষকে ঘরে ফেরাসহ অন্যান্য মানবিক কাজে নিজেকে সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত রেখেছেন।
ঘোড়াঘাট উপজেলার মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের অর্পিত দায়িত্ব বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল হলেই বেরিয়ে পড়েন উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সেনাবাহিনী, পুলিশ আনসার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে দিনরাত মাঠে থাকছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের প্রাপ্ত তথ্য মতে, করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে চলতি বছরের ১৪ই মার্চ থেকে ৭ই জুন পর্যন্ত ৮৩ জন কে ৮৩টি মামলা দেওয়া এবং ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮ শত টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ওয়াহিদা খানম।
এ বিষয়ে পালশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কবিরুল ইসলাম বলেন, ইউএনও মহোদয় কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত জনবান্ধব, সৎ, কর্তব্যপরায়ন, মেধাবী ও সাহসীকতার স্বাক্ষর রাখছেন।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এম এম মনিরুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন ক্লান্তিহীনভাবে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে, মানুষকে ঘরে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সত্যিই প্রশংসনীয়, তার মতো কর্মকর্তারাই পারে নিষ্ঠার সাথে মেধা ও শ্রম দিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়তে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম বলেন, আমি সরকারের একজন প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। উপজেলা বাসীকে নিরাপদ রাখতে যা যা করা প্রয়োজন তা আমরা করছি। তবে সকলের প্রতি আমার অনুরোধ এ মহামারীতে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হবেন না।
মন্তব্য করুন