নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর), সৈয়দ হারুনুর রশীদ।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে করোনাকালেও চলছে চুল ছেঁড়ার কাজ। আর এ চুল ছেঁড়ার আসরে বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া থেকে মহিলারা একত্রিত হচ্ছে। করোনা যুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘরে থাকার যে আহবান তা তারা মানছেন না । চলছেন না স্বাস্থ্য বিধি মেনে। করোনার শুরুতে বন্ধ করে দেয়া এসব চুল ছেঁড়ার কাজ আবারও কিভাবে চলছে তা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে আলোচনা সমালোচনা চলছে। উপজেলার পুটিমারা, ভাদুরিয়া, শালখুরিয়া সহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে একাধিক কেন্দ্রে মহিলারা ওই সব চুল ছেঁড়ার কাজ করছেন। গত ১৯ জুলাই সরেজমিনে পুটিমারা ইউনিয়নের শেরনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায় একটি বাড়ীর বারান্দায় কেন্দ্র করে ১৫/২০ জন মহিলা গাদাগাদি করে বসে মূখে মাস্ক ছাড়াই গল্প গুজবের মাধ্যমে অপরিস্কার চুলের জটলা খুলছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কেন্দ্রের দলনেত্রী জানালেন স্থানীয় একজন জন প্রতিনিধি তাদের ওই কাজের অনুমতি প্রদান করেছেন। শালখুরিয়া গ্রামের হরমুজ আলী জানালেন তার বাড়ীর পার্শ্বেও ওই চুল ছেঁড়ার কাজ চলছে। করোনার শুরু থেকে পুলিশ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে চুল ছেঁড়া কার্যক্রম যেন না চলা হয় তা তদারকি করছিলেন। এসব চুল ছেঁড়া কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে কিনা তা ভাদুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসমান জামিলের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ওই সব চুল ছেঁড়ার কাজ চালু করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার জানান, চুল ছেঁড়ার কাজ বন্ধ থাকার কথা, তিনি বিষয়টি দেখবেন। এলাকাবাসী বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনা মুক্ত রাখতে বিষয়টির প্রতি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ দিকে উপজেলা এলাকায় দিন দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের তালিকা লম্বা হচ্ছে। গত রবিবার রাতেও ১ জনের আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে। গত শুক্রবারে রাতে এসেছে ৩ জন আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট। বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও বয়সের মানুষ ওই তালিকায় রয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব মতে উপজেলা এলাকায় গত রবিবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। এর মধ্যে মৃত্যু বরণ করেছেন ২ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪১ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১১ জন। উল্লেখ্য উপজেলা এলাকায় গত ১৪ এপ্রিল প্রথম ৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট এসেছিল।#
মন্তব্য করুন