ঘোড়াঘাটে অর্ধশতাধিক যুবকদের পোল্ট্রি ও মৎস্য চাষে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সফল মৎস্য চাষী কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী I

Spread the love

ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে মোঃ শফিকুল ইসলামঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চৌধুরী গোপালপুর গ্রামের সফল মৎস্য চাষী যুব সমাজের নক্ষত্র কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। এখন প্রতন্ত অঞ্চল হলেও এক সময় কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী পূর্ব পুরুষ ছিল জমিদার পরিবার। জমিদার পরিবারের সন্তান হয়েও সামাজিক ও উৎপাদন মূখী কর্মকান্ডে আত্মনিয়োগ করে এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক যুবকদের পোট্রি ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এবং অন্যান্য যুবকদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী লেখাপড়া শেষ করে নিজ এলাকায় মৎস্য চাষসহ নানামূখী সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে নিতে সক্ষম হয়েছে রংপুর বিভাগের ১ম স্থান অধিকারী ক্রেস্ট।

তার মৎস্য খামার পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সেক্রেটারি ও প্লানিং ডিরেক্টর আবু হাসান খান। সামাজিক কর্মকান্ডে চ্যানেল আই এর সাথে ক্ষুদে শিল্পীদের নিয়ে সম্পৃক্ত ও এটিএন বাংলার আয়োজনে নাট্যযুদ্ধ, রিয়েলিটি শোতে দিনাজপুর জেলা দলের পরিচালক হিসেবে সারা দেশের মধ্যে ১০-এ উন্নীত করাতে সক্ষম হন এছাড়াও সমাজ সচেতনতা মূলক স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচিত্র ও নাটক নির্মান অব্যাহত রেখেছে। এলাকার যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে ক্রিকেট ও বিভিন্ন খেলাধুলা নিয়ে নিজ এলাকায় প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাকরণ চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে একজন দক্ষ মৎস্য চাষিসহ সামাজিক কর্মকান্ডে ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরেও তার পরিচিতি ঘটেছে।

আত্ম-কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আধুনিক পদ্ধতিতে মাছের চাষ ক্রমান্বয়ে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সফলতার দিকে। ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌধুরী গোপালপুরে এই আত্মবিশ্বাসী যুবক এগিয়ে যেতে পড়াশুনার দিকে উদাসিন থেকেও স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছেন। লেখাপড়া শেষ করে সোনার হরিণ চাকুরির আশা না করে বিভিন্ন সামাজি কর্মকান্ডসহ উন্নত চাষাবাদ ও পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত একই সাথে ৭টি পুকুরে মাছ চাষ করে এখন বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। তার এলাকার বেকার ও শিক্ষিত যুবকদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক ও উৎপাদনমূখী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি কর্মকান্ডে আত্ম-নিয়োগ করে এলাকার প্রায় অর্ধ শতাধিক যুবকদের পোল্ট্রি ও মৎস্য চাষের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করেছেন । এবং অন্যান্য যুবকদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।

আবু সায়াদ জানান, তার বছরে মাছ চাষে ব্যয় এর পর প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উপার্জন হয়। ২০১৬ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে রংপুর বিভাগে তাকে শ্রেষ্ঠ ও ১ম স্থান অধিকারী জাতীয় যুব পুরস্কারে মনোনিত করেছিলেন। তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পাওয়া এই ক্রেস্ট তার চলার পথকে আরো সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এনামুল হক চৌধুরী জানান আবু সায়াদ চৌধুরী প্রতি বছর তরুনদের বিপদগামী থেকে দূরে রাখতে নিজ খরচে মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সমাবেশ সহ বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করছেন।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।