নবাবগঞ্জ (দিনাজ পুর ) প্রতিনিধি মোঃ রুহুল আমিন প্রধান >
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় আম বাগানের মালিক মোঃ রফিকুল ইসলামের গোলাপ গঞ্জ ইউনিয়নের পাঠাজাগি ও ছোট রঘুনাথপুর বেলের চড়ায় ১০৫বিঘা জমিতে ৫বছর ধারে অন্যের জমি চুক্তি ভিত্তিক লিজ নিয়ে উন্নত মানের হাঁড়ি ভাঙ্গা আম্রপালী সহ বারি ফোর জাতের ২ টি আম বাগান প্রায় ৭০ লাখ টাকার অর্থ বিনিয়োগ করে বাগান পরিচর্যা করে বাগানের আম গুলো যখন বাজার জাতকরণের সময় হয়েছিল । তখন বিভিন্ন আম ব্যবসায়ীরা মানসম্পন্ন আম ক্রয় করার জন্য বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম এর নিকট আসতে থাকে। এবছর রংপুর বিভাগের মিঠাপুকুর থানার তেকানী গ্রামের মৃত্যু মাহাতাব আলীর পুত্র বাদশা মিয়া (৫৮) মৃত্যু ফুলমিয়ার পুত্র আঃ সালাম ( ৩০) গোলজার রহমানের পুত্র মনতাজ আলী (৪৭) আঃ রশীদের পুত্র শাহিন মিয়া (৪২) লিয়াকত আলীর পুত্র এমদাদুল হক (৩৯) গোলজারের পুত্র তহিদুল ইসলাম (২৭) বাদশাহর পুত্র রবিউল ইসলাম (৩৮) আকতারুলের পুত আবু জোবায়ের মোফাকারুল মিলন গংরা গত ০৬/০৭/২০২০ ইং তারিখে ওই বাগানের আম ডিডে ৯১লাখ টাকা মূল্যে উল্লেখিত ব্যক্তিদের নিকট বিক্রি করে দেয়। এর পর শর্ত থাকে যে দ্বিতীয় পক্ষ ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করিয়া বাগানের আম পাড়িয়া নিয়ে যাবে। এদিকে বাগান মালিক রফিকুল ইসলাম রফিক অভিযোগ করেন ক্রেতারা বাগানের চুক্তি মূল্যের সমুদয় টাকা পরিশোধ না করিয়া গোপনে চুক্তির টাকা আত্বসাত করার হীন মন মানুষিকতা নিয়ে রাতের আধাঁরে পালিয়ে যায় । পরে ক্রেতাদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিফ না করায় বাগান মালিক বাধ্যহয়ে তার বাগানের পাশ্ববর্তী মিনহাজুল ইসলাম ইউপি সদস্য মোঃ হাসেম আলী সহ অন্যান্য মানুষদের নিয়ে তাদের গ্রামে খোঁজ নিতে গেলে তারা পরবর্তীতে শালিশী বৈঠকে সমাধা করে নিবে বলে বাগান মালিক কে জানান বলে তথ্যটি নিচ্ছিত করেন মধ্যস্থতাকারী মোমিনুল হক জানান । এ বিষয়ে গত ২১/০৭/২০২০ তারিখে মিঠাপুকুর উপজেলার সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও রংপুর জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম এর উপস্থিতে স্থানীয় শালিশে তারা চুক্তির সমুদয় টাকা পরিশোধ করেননি। তবে ওই ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শালিশ বৈঠকে উল্লেখ করেছেন এ পর্যন্ত ৪৮ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। তবে জেলা পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম তুহিন জানান পরবর্তীতে আবার প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সমাধা করা হবে । এ বিষয়ে ক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন আমাদের পালিয়ে আসা ঠিক হয়নি । তবে বৈঠকে উল্লেখ করেন ওই বাগান নিয়ে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবিষয়ে বাগানের মালিক জানান তার চুক্তির টাকা উঠানোর জন্য আইনগত ব্যাবস্থা তিনি নিবেন । রঘুনাথপুর পুর গ্রামের হাসেম আলী বলেন সমুদয় টাকা না পেলে বাগান মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
মন্তব্য করুন