ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি।-
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে একদিকে মহামারী করোনা ভাইরাস অপরদিকে ভারত থেকে ধেয়ে আসা বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে বেশ কিছু গ্রাম। ঘোড়াঘাট উপজেলার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে দুকূল উপচে গিয়ে নদী সংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ফলে এসব গ্রামের বানভাসী পরিবারগুলো অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপার করছে।এমন পরিস্থিতিতে ঘোড়াঘাট উপজেলার শালিখাদহ, কুলানন্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, কৃষ্ণরামপুরসহ ঘোড়াঘাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বালুপাড়া গ্রামে বন্যার পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৫০টি পরিবারের মাঝে নৌকাযোগে এমপির দেওয়া ত্রাণ সরুপ চাল, ডাল, তেল ও লবনসহ অন্যান্য উপকরণের বস্তা নৌকা যোগে বাড়ি বাড়ি পৌছে দিচ্ছেন আব্দুস ছাত্তার মিলন। একই দৃশ্য উপজেলার কৃষ্ণরামপুর গ্রামের চরপাড়া এলাকায় শতাধিক বাড়ি পানির নিচে হাবুডুবু খেলেও খোঁজ নেয়নি কেউ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এসব বানভাসী পরিবারগুলো আসবাবপত্র ও গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করছে। বন্যার পরিস্থিতির খোঁজ খবর নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদা খানম ঘোড়াঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের সুপারভাইজার ধ্বিরাজ সরকারকে বন্যা এলাক পরিদর্শনে পাঠিয়ে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব বানভাসী মানুষদের জন্য সরকারিভাবে কোন ত্রাণ আসেনি। গতকাল পর্যন্ত বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে ছিল। সরকারিভাবে এসব বানভাসী মানুষদের মাঝে অতিসত্বর ত্রাণ বিতরণ করা না হলে তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে হবে।
ত্রাণ বিতরণ কালে পৌরমেয়র আব্দুস ছাত্তার মিলন বানভাসী মানুষদের উদ্দেশে বলেন, দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বন্যার খবর পাওয়া মাত্রই আপনাদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী প্রেরণ করেছেন। বন্যা পরিস্থিতি যতদিন স্বাভাবিক অবস্থায় না আসে ততদিন তিনি সরকারি ও নিজ অর্থায়নে আপনাদের সাহায্য সহযোগিতা করে যাবেন।
মন্তব্য করুন