নবাবগঞ্জে চড়ারহাট এ গণহত্যা দিবস পালনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল I

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম.রুহুল আমিন প্রধান
শনিবার সকাল ১১টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ৫নং পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট-এ গণ হত্যা দিবস পালনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চড়ারহাট শহীদ স্মৃতি ফলকে সকাল থেকে ফুল দিয়ে শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর ফোরামের কমান্ডার মোঃ আবুল কালাম আজাদ, দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ আলতাফুজ্জামান মিতা, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ পারুল বেগম, ৫নং পুটিমারা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী প্রমূখ। নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এখলাছুর রহমান জানান প্রতি বছর ১০ অক্টোবর এ দিবসটি পালন হয়ে আসছে। ১০ অক্টোবর’ ২০২০। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার পুটিমারা ইউনিয়নের চড়ারহাট (প্রাণকৃঞ্চপুর) গ্রামে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই দিনে হানাদার বাহিনী তাদের দোসরদের সাথে নিয়ে ওই গ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল। এতে প্রায় ১৫৭ জন নিরীহ মানুষকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ওই দিনটির কথা যারা বেঁচে আছেন তারা আজও ভুলতে পারেন নাই। জানা যায় হানাদার বাহিনীর উপর মুক্তি সেনারা হামলা চালিয়েছিল বিরামপুর উপজেলার বিজুল নামক স্থানে। এরই প্রেক্ষাপটে প্রতিশোধ নিতে ওই দিন ভোরে তারা চড়ারহাট(প্রাণকৃষ্ণপুর) গ্রাম ঘেরাও করে গ্রামের মানুষকে একত্রিত করার পর লাইন করে দাঁড় করায়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। তখন এরমধ্যে কেউ কেউ আহত হয়েছিলেন। প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের ভাষায় হানাদার বাহিনীর নারকীয় ওই হত্যা কান্ডের পর লাশে কাফনের কাপড় হিসাবে শাড়ী ও মশারীর কাপড় ব্যবহার করে এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করা হয়েছিল। বর্তমানে শহীদদের স্বরণে সেখানে একটি স্মৃতিমিনার স্থাপন করা হয়েছে।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।