নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম.রুহুল আমিন প্রধান>
বালু মহাল স্থাপনের দাবী উঠেছে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ঘোড়াঘাট উপজেলায় করতোয়া নদী থেকে বালু তুলে কোটি টাকার চলছে বালু ব্যবসা। সরকারি ভাবে বালু মহাল ঘোষনা না করায় সরকার কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নবাবগঞ্জ উপজেলার ৮নং মাহমপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন বয়ে গেছে করতোয়া নদী। দুই ধারের ২ উপজেলা রংপুর পীরগঞ্জ, দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ। দীর্ঘদিন ধরে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীটি একদিকে ভাঙ্গে অপর দিকে বালুর চর পড়ে যায়। এই চরে বালু ব্যবসায় মেতে উঠে স্থানীয় প্রভাব শালীরা। নদীর বালু বিক্রয় করে অনেকে আঙ্গুলফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে। এ রিপোর্ট সংগ্রহ করতে গেলে এলাকাবাসী জানায় নদীর পড়ে থাকা চরে বালু সরকারীভাবে বালু মহাল ঘোষনা দিতে পারলে কোটি টাকার রাজস্ব পাবে সরকার। এমনি একই চিত্র পাশর্^বতী ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বিঘ্নে আইন অমান্য করে নদীর বিভিন্ন স্থানে শ্যালে মেশিনের সহায়তায় লম্বা পাইপ স্থাপন করে সুবিধামত স্থানে বালু জমায়েত করে পরে বিভিন্ন বাহনে ভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করছে বালু ব্যবসায়ীরা। এ ব্যপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন জানান নদী থেকে বালু উত্তোলনের স্পটে অভিযান পরিচালনা করে বালু উত্তোলনের সরঞ্জমাদি বালু পরিবহনের গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা অব্যাহত থাকবে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের বাসিন্দাদের বহু জমি করতোয়া নদীর করালগ্রাসে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এর মধ্যে আবার উক্ত গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মমিন উদ্দিন ও আঃ মালেকের ছেলে ছাইদার আলী ওই গ্রামের ধারে করতোয়া নদীতে স্যালো মেশিন বসে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করছে। এতে দেখা যায়, শুধু গ্রামবাসীর জমিই নয়, এক সময় গ্রামটিও নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। তাই জয়রামপুর গ্রামের জনগণের পক্ষে গ্রামটি ও জমি রক্ষার্থে আনছার আলী বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মন্তব্য করুন