জয়পুরহাট প্রতিনিধি : ওমর আলী বাবু >
জয়পুরহাটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জেলহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় জয়পুরহাট স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে জয়পুরহাট পৌর কমিউনিটি সেন্টারে দিবসটি পালন উপলক্ষে দোয়া ও সরণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ।
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি প্রভাষক এই এম মাসুদ রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ সামছুল আলম দুদু ।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম সৈকতের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী,জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম হাক্কানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন,বাবু শেখর মজুমদার,জাহিদুল আলম বেনু, দফতর সম্পাদক মিজানুর রহমান টিটো প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ত্রাণ বিষয়ক বিষয়ক সম্পাদক রানা কুমার মন্ডল,শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক,সাংগঠনিক সম্পাদক জিলুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি শহীদ ইকবাল সদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম তুহিন সহ পাঁচটি উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দ ।
প্রধান অতিথি বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশ বিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙ্গালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্ট চালিয়েছিল।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জমানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।
পরে জাতীয় চার নেতার শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্য করুন