নবাবগঞ্জ দিনাজপুর থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান >
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ইটভাটা প্রস্তুত নির্মান ও পরিবেশের অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠেছে ইট ভাটা। এর কারণে তিন ফসলী কৃষি জমি ক্ষতিসাধন সহ পরিবেশ হুমকির মুখে। ভাটা এলাকার আশেপাশে ঘন বসতি ও কৃষি ফসলের ক্ষতির বিরুদ্ধে রক্ষা পেতে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদনও করেছিল। ইটভাড়া মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় জ¦ালানী হিসেবে কাঠ পুড়িয়ে বীরদর্পে চালাত এ ব্যবসা। এ বিষয়ে সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুর এর চরকাই ফরেষ্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বনের জমিতে গড়ে ওঠা ইট ভাটা আর বন সংলগ্ন ইটভাটা উচ্ছেদ চেয়ে বন বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং প্রতি মৌসুমে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ওই ভাটাগুলো কাঁচা ইট ধ্বংস সহ জরিমানাও আদায় করেছিল ভ্রাম্যমান আদালত। নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান, অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা ইট ভাটা বন্ধের জন্য তিনি দিনাজপুর জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় জোরালো ভাবে সুপারিশ করেছিলেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহার জানান, আইন অমান্য করে যে বা যারাই ইট ভাটা নির্মান করেছে তাদের ছাড়া দেওয়া হবে না। সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগরে প্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া ইট প্রস্তুত ও ভাটা নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করে ভাটা পরিচালনা কারায় অপরাধে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় চারটি ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছেন ভাম্যমাণ আদালত। এছাড়াও এ এস এম নামের একটি ইটভাটার মালিককে ১ লক্ষ টাকা জরিমাণা করেন তাঁরা। বুধবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট রুজিনা আক্তার ও দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক একে এম সামিউল আলম কুরসি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। গুড়িয়ে ফেলা ভাটাগুলো, উপজেলার হরিপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের পরিচালিত আর এ আর ভাটা, চকদুলু এলাকার মিনহাজুল ইসলামে’র এম এম বি, এবং আমতলা গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পরিচালিত এম এস বি। এছাড়ও হরিপুর এলাকার আমিনুল ইসলাম পরিচালিত এ এস এম ইটভাটাকে ১লক্ষ টাকা জরিমাণা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ অধিদপ্তরের দিনাজপুর জেলাকার্যালয়ের পরিচালক একে এম সামিউল আলম কুরসি বলেন,‘আদালতের নির্দেশে আমরা অবৈধ্য ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রছাড়া যতগুলো ইটভাটা রয়েছে প্রত্যেক ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট রুজিনা আকতার বলেন,‘ ভাটায় স্থায়ী ভাবে চিমনি করে যারা ভাটার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যে সব ভাটায় স্থায়ী চিমনি ব্যবহার না করে হাওয়ার মাধ্যমে ইট তৈরীর কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রাথমিক ভাবে জরিমাণা করা হচ্ছে।তিনি বলেন,‘২০১২ সালের পরিবেশ দূষণ কারি সনাতন পদ্ধতীর ফিক্সড চিমনি ইট ভাটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন