দেশ স্বাধীনের ৪৯বছর পেরিয়ে গেলেও নবাবগঞ্জে ৫০ বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পায়নি তবে যাচাই বাছাই চলছে ।

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম.রুহুল আমিন প্রধান:
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ৫০ জন বিরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির দাবীতে কর্তৃপক্ষের বরাবরে আবেদন করেছে।
স্বাধীনতার ৪৯টি বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের বীরাঙ্গনা ৫০ নারীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় ভূষিত করার দাবি উঠেছে বহুবারই, কিন্তু আমলে নেয়নি কেহই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনেক আবেদন-নিবেদনের পর ওই নারীদের মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা পাওয়ার বিষয়ে এই বারই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। হয়তোবা এবারই ভাগ্যের জট খুলতে পারে এমনি আশায় বুক বেঁধেছেন ওই সব বীরাঙ্গনা নারীরা। আর যাচাই-বাছায়ের কাজ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ৭১’এর সেই যুদ্ধে ভয়াল ঘটনার রূপ নিয়েছিল এই দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। উপজেলার প্রাণকৃষ্ণপুর, আন্দোলগ্রাম, সারাইপাড়া ও খয়েরগুনি এই ৪ টি গ্রামের ১১৯ জন লোককে গুলি করে হত্যা করেছিলো হানাদার বাহিনী। সেই গণহত্যায় নবাবগঞ্জের চড়ারহাট রূপ নেয় বধ্যভূমিতে। আর সম্ভ্রম হানির ঘটনাও ঘটেছিল এসব গ্রামেই। এলাকার সম্ভ্রম হারানো নারীরা লজ্জায় সমাজে মাথা উঁচু করে কিছু বলতে পারেন না কখনো। তবে তাদের আক্ষেপের যেন শেষ নেই। কি পেলো তারা সংগ্রাম করে ? আক্ষেপের সুরে নির্যাতিত মেহেরুন নেছা বলেন, নাইবা থাকলো ইতিহাসে আমাদের নাম, কিন্তু আমাদের নিয়েই তো ইতিহাস। ওই ৫০ জন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননায় ভূষিত হয় এমন দাবি করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী সরকার। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ নির্বাহী অফিসার মোছাঃ নাজমুন নাহারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান বিরাঙ্গনাদের দাবী সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী জানান ৫০ জন বিরাঙ্গনা নারীকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে শীতবস্ত্র দেয়া হবে।

 

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।