নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা ৪ নং দিওড় ইউনিয়নের আব্দুল মালেক মন্ডল মানবতার ফেরিওয়ালা নামে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ও ঘরে ঘরে সর্বত্র সু-পরিচিত।আঃ মালেক মন্ডলের বর্তমান বয়স ৪৫ বছর ছুঁই ছুঁই, প্রবাস ফেরত। নিজ মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরে নিজ এলাকায় তিনি‘মানবতার ফেরিওয়ালা’হিসেবে মানব সেবায় সু-পরিচিত হয়েছেন সর্বত্র। করোনাকালীন সময়ে তিনি বাড়িতে বাড়িতে ভুক্তভোগী অসহায়দের নিজের পরিবার সংসারের চেয়েও অন্যদের নিয়ে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রতিনিয়ত । নিজের পরিবারের কথা ভুলে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি সর্বত্র।আঃ মালেক মন্ডল করোনা কালীন সময়ে রাস্তায়,পাড়ায়, মহল্লার মানুষদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন করাসহ মাক্স বিতরন ও নানা রকম মানব সেবা কাজে দিওড় ইউনিয়নে রয়েছে তার এ রকম অনেক উদাহরণ প্রতিদিনই সোসাল মিডিয়া এবং অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে প্রতীয়মান।আঃ মালেক মন্ডলের মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে পূনরায় (বর্ষাকালে দিয়েছেন রার্বিশ) চলোমান কার্যক্রমে করেছে গ্রাম গঞ্জের জানবাহন ও জনচলাচলের অযোগ্য রাস্তায় রাস্তায় মাটি ভরাটের কার্যক্রম। আর বর্ষা বাদলে যে সকল কাঁচা রাস্তাগুলি কাঁদাজনিত কারণে জনসাধরণ ও যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে মর্মে পূর্বের ন্যায় নিজ অর্থায়নে আবারো নতুন করে রাস্তায় রাস্তায় মাটি ভরাট করছেন নিজে সরাসরি উপস্থিত থেকে। একসঙ্গে ৪ নং দিওড় ইউনিয়নের সর্বত্র বিভিন্ন গ্রামে চলছে মাটি ভরাট।তিনি নিজের অর্থায়নে এসব করে থাকেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতেও তিনি দুঃস্থ্য অসহায় মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান।পৌষের হাড় কাঁপানো কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে দুস্থ শীতার্তদের বাড়ি বাড়ি কম্বল নিয়ে হাজির হচ্ছেন আঃ মালেক মন্ডল। প্রতিদিনের মতো নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে গভীর রাতে দুস্থ্য অসহায় শীতার্তদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তিনি কম্বল বিতরণ করেন। এসময় তিনি অনেক বৃদ্ধজনের শরীরে নিজ পিতা-মাতার মতো পরম যত্নে কম্বল জড়িয়ে দেন।কনকনে শীতের গভীর রাতে কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুলে কম্বল হাতে আঃ মালেক মন্ডলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে শীতার্ত মানুষ এসময় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।এছাড়া, কোথাও কোনো অভুক্ত-অসুস্থ মানুষ থাকলে সে সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। নিজের সাধ্য মতো তাদের সহায়তা করেন।
দীর্ঘ ১৬ বছর প্রবাসে থেকে তিনি যা আয় করেছেন তা সমাজের কাজে ভুক্তভোগী অসহায় মানুষের মাঝে খরচ করছেন বলেও জানান।আঃ মালেক মন্ডল বলেন, ‘আমার স্বপ্ন আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এলাকার অসহায় মানুষদের পাশে যেন দাঁড়াতে পারি। তাদের কষ্ট লাঘবে নিজেকে যেন বিলিয়ে দিতে পারি।
তিনি আরো বলেন,২০১৭ ইং সাল থেকে ২০২০ ইং পর্যন্ত চলোমান আমার নিজ অর্থায়নে সর্বপ্রকার এ কল্যাণ মুখী উন্নয়নের ধরা আরো বেশি বেশি করে অব্যাহত রাখতে ২০২১ ইং কে সামনে রেখে আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে সকলের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
মন্তব্য করুন