নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান
হাড় কাঁপানো কনকনে শীতের ভিতর বোরো চাষের জন্যে ঝুঁকে পড়েছেন দিনাজপুরের কৃষক। ভোর থেকে শীতল ঠান্ডা পানিতে নেমে বোরো ধানের বীজ তুলে সেই বীজ জমিতে রোপণ করছেন শ্রমিকরা। পাশাপাশি বোরো চাষের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে জমি। ভোর রাত থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত গরুর লাঙ্গল ও ট্রাক্টর দিয়ে বোরো জমি চাষের জন্যে হাল চাষ করছেন কৃষক। জানা গেছে,আমন ধান কাটার পরপরই আগাম আলু উত্তোলনের পর ওই জমিতে রোপনের হিড়িক পড়েছে।
এবার অন্য বছরের তুলনায় দিনাজপুর জেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু উত্তোলনের পরে সেইসব জমিতে চাষ করা হবে বোরো ধান। তবে যারা আলু চাষ করেননি তাঁরা আগাম সেইসব জমিতে বোরো চাষের জন্যে এখন থেকে নেমে পড়েছেন বোরো রোপনের জন্য। ভোর থেকে কনকনে ঠান্ডার মধ্যে শ্রমিকরা চারা রোপণ করছেন বোরো জমির মাঠে। নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার দপ্তরে যোগাযোগ করা হলে ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মুক্তাদির জানান আগাম চারারোপন করায় ক্ষেতে ফসল ভালো উৎপাদন হয়। আর সারি সারি করে রোপন করার ফলে পরবর্তী পরিচর্যায় বেশ স্বস্তি মিলে।এছাড়াও ক্ষেতে রোগবালাই কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের থেকে শতকরা ২০ ভাগ ফসল উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। আর ক্ষেতে কাজ করে দিনের মজুরী দিনে পাওয়ায় পরিবারের সবাই স্বাচ্ছন্দে বসবাস করতে পারেন। জীবন জীবীকা নির্বাহ করতে পারেন। শ্রমিকের সাথে চাষীর সুসম্পর্ক বজায় থাকে। এ বিষয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, ১৫ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। দুএকদিনের মধ্যেই পুরো দমে রোপন শুরু হবে।
মন্তব্য করুন