ঘোড়াঘাটে এক আদিবাসী কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষন ছদ্মবেশী প্রেমিক সহ ৩ জন আটক ।

Spread the love


ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে গভীর রাতে ছদ্মবেশে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে এসে গণধর্ষনের শিকার হলো এক আদিবাসী কিশোরী। ১৭ বছরের এই কিশোরীকে ছদ্মবেশী প্রেমিক সহ ৩ জন মিলে পালাক্রমে ধর্ষন করে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (৩০শে জানুয়ারী) রাত ৩টার দিকে উপজেলার খোদাদাদপুর বাওপুকুর গ্রামে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট পৌর এলাকার বাওপুকুর গ্রামের মৃত চুরকা হাসদার ১০ম শ্রেণী পড়–য়া কিশোরী সখিনা হাসদা (১৭) এর সাথে প্রায় দেড় বছর আগে রাজু নামের এক যুবকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাঝে মাঝে ফোনে যোগাযোগ করা হত রাজুর সাথে। কিন্তু কোন ভাবে তাদের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতে পারে লাবু নামের এক যুবক এবং সে কৌশলে সখিনা হাসদার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে। পরে সে সখিনাকে কল করে রাজু পরিচয় দিয়ে একাধিকবার কথা বলার এক পর্যায়ে গত শনিবার (৩০শে জানুয়ারী) রাত ৩টার সময় কিশোরী সখিনার বাড়ীর পাশের লিচুর বাগানে তাকে দেখা করতে বলে।পরে ওই ছদ্মবেশী প্রেমিক লাবুর কথা অনুযায়ী বাগানে গিয়ে সে প্রেমিক রাজুর পরিবর্তে অন্য একজন যুবককে দেখে চিৎকার করে এবং দৌড়িয়ে বাড়িতে পালানোর চেষ্টা করলে লাবুর সাথে বাগানে আগে থেকে অবস্থান নেয়া দুই সহযোগি ওমর ফারুক এবং আশরাফুল সখিনাকে আটকে মুখ চেপে ধরে। পড়ে লিচুর বাগানে পালাক্রমে ওই তিন জন মিলে কিশোরী সখিনাকে একাধিকবার ধর্ষন করে।আটককৃত ওই তিন ধর্ষক হলো ঘোড়াঘাট উপজেলার ঘুঘুরা (ভোতরাপাড়া) গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে নাইট গার্ড এবং ছদ্মবেশী প্রেমিক লাবু মিয়া (২৮), একই গ্রামের আহাম্মদ আলীর ছেলে রাজ মিস্ত্রি আশরাফুল ইসলাম (৩৫), অপর একজন পৌর এলাকার বাওপুকুর গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে রাজমিস্ত্রী ওমর ফারুক (২১)।এ বিষয়ে সখিনা হাসদার মা রানী সরেন জানান, এই তিন ধর্ষককে প্রায় তাদের বাড়ীর আশে পাশের লিচু বাগানে গাঁজা সেবন করতে আসতো। রাতের আঁধারে তার মেয়েকে ধর্ষন করে ওই তিন ধর্ষক। বিভিন্ন ভয় ভীতি ও হুমকী প্রদান করে আসছিলেন। যে কারনে তার মেয়ে তাৎক্ষনিক বাড়ীতে কিছু জানায়নি। ঘটনার দিন মেয়ে সখিনা  তাকে সব খুলে বললে সে মেয়েকে নিয়ে থানায় যায় এবং মামলা দায়ের করে।ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দিন জানান, গত রোববার (৩১শে জানুয়ারী) ধর্ষিতার মা রানী সরেন থানায় এসে মামলা দায়ের করলে, তাৎক্ষনিক পৃথক পৃথক স্থান থেকে আমরা তিন ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হই। আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের গণধর্ষনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের সোমবার দিনাজপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে রাজু নামের কারো অস্তিত্ব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।