করোনাকালীন দুর্যোগেও উৎপাদন থেমে নেই কৃষি দপ্তরে উত্তর জনপদে ধানের পাশাপাশি খাদ্য শষ্য হিসেবে বেড়েছে গমের উৎপাদন

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান
করোনাকালীন দূর্যোগেও উৎপাদন থেমে নেই কৃষি দপ্তর। গেলো বছরের চেয়ে এবছরে দিনাজপুরে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।ধানের পাশাপাশি কৃষকরা গম চাষে মনোযোগ দিয়েছেন। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দিনাজপুর জেলার ১৩ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে সবুজে ছেয়ে গেছে গমের মাঠ। ধানের চেয়ে গম চাষে খরচ কম এবং এ ফসল উৎপাদন করতে কৃষকের শ্রমও লাগে কম। প্রতি বিঘা জমিতে গম চাষে কৃষকের খরচ হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা। তাই অল্প শ্রমে স্বল্প ব্যয়ে কৃষকরা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এক বিঘা জমিতে ১৪ থেকে ১৮ মণ গম ঘরে তোলে কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, কৃষি অফিসের জনবল বৃদ্ধি করে গম চাষে আরও বেশী সেবা দিলে তারা আরও বেশী গম উৎপাদন করতে পারবে। কৃষক আকরাম হোসেন বলেন,অনেক আশা করে জমি প্রস্তুত করে গমের বীজ বোপন করেছি ।গম ভাল হলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে থাকতে পারবো।তাই যতœসহকারে জমি তৈরি করে এবং গমের বীজ বোপন করেছি।আশা করছি এবার গমের ফলন ভাল পাবো। দিনাজপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদুল ইকবাল জানায়,গত বছরের চেয়ে এবছরে গমের চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গেলো বছরে জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষকরা গম চাষ করেছে।তা বৃদ্ধি পেয়ে চলতি মৌসুমে জেলার ১৩ টি উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধারা হয়েছে। তিনি আরও জানান,চাষিরা সঠিকভাবে গম চাষ করতে পারে সে জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কোভিড-১৯ এ দূর্যোগে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ফসল উৎপাদনে কাজ করে যাচ্ছে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ। এবিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা আসাদুজ্জামান জানান, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সহ মানবদেহে পুষ্টিকর খাদ্য বৃদ্ধি করতে মাঠে নিরলস ভাবে কাজ করা হচ্ছে। উৎপাদন কাজে কৃষকের পাশাপাশি সহায়তা করতে গিয়ে বীরগঞ্জ উপজেলায় ০৩ জন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর পরেও ফসল উৎপাদনে মাঠে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ সহ সরকারি বিভিন্ন সার, বীজ, প্রণদনা সহায়তা করা হচ্ছে। এবিষয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রধান ফসল ধানের পাশাপাশি গম খাদ্য হিসেবে চাষ হচ্ছে । কোভিড-১৯ এ তার দপ্তরেও আক্রান্ত হয়ে তারা সুস্থ্য হয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। গম চাষীরা উচ্চ ফলনশীল বারি ২৫,বারি ২৬,বারি ২৮,বারি ৩০ ও বারি ৩১ জাতের গম জমিতে চাষ করেছে। আমরা প্রতিনয়িত মাঠে কৃষকদের পাশে থেকে সুপরামর্শ দিয়ে আসছি। আশাবাদী আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে কৃষকরা তাদের গম কেটে ঘরে তুলতে পারবেএদিকে হাকিমপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ড. মোছাঃ মমতা সুলতানা জানান, এ বছরে চলতি মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১৬০ হেক্টর জমিতে গম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।