নবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে ৫০ কোটি টাকার উন্নতমানের আম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন বাগান মালিকেরা

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান
এলাকার কৃষকেরা কৃষি জমিতে সাথি ফসল হিসেবে ফলাচ্ছে আম। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে আম রাজধানীসহ বিভিন্ন উপজেলায় নবাবগঞ্জের উৎপাদিত আম বিক্রি হয়। উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের বন বিভাগের অধিনে ন্যস্ত থাকা দারগার আম বাগান গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের রফিকুলের আম বাগানসহ ২ হাজার বাগানী এবার চাষ করছে আম।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ছোট বড় গাছগুলোতে এসেছে আগাম মুকুল। মুকুলগুলো আমের গুটি হওয়ার আগেই পরিচর্যা কাজ করছেন বাগান মালিকেরা। কোন ভিটামিন ওষুধ স্প্রে করলে আম উৎপাদন ভালো হবে সে বিষয় মাথায় নিয়ে বাগানীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ইতোমধ্যেই দেশের তৃতীয় ফল উৎপাদন সমবায় সমিতি লিমিটেড নবাবগঞ্জে মাহমুদপুর ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাহমুদপুর ফল সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান জানান, এ অঞ্চলের আম মান-সম্মতভাবে উৎপাদন করে বিদেশে যেন পাঠানো সম্ভব হয় এ লক্ষে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় চাপাইনবাবগঞ্জ আম গবেষনা কেন্দ্র থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এনে আম বাগান মালিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের ১শ বিঘা জমিতে আমচাষী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান এ বছর আগে থেকেই তার বাগানে এসেছে আম সম্ভাবনাময় মুকুল। এখন থেকে বাগানে বাগানে চলছে আমের মুকুল ধরে রাখতে পরিচর্যা সহ ঔষধ স্প্রে করণ। কিন্তু গত বছর গাছে গাছে প্রচুর মুকুল ও ব্যগিং পদ্ধতিতে আম প্রসেসিং করা হয়েছিল। এ বছরে আমের উৎপাদন বৃদ্ধি ভালো হলে বিদেশে আম রফতানি করা সম্ভব হবে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।