নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান
দিনাজপুরের ৪ উপজেলা নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাটে হিমাগার না থাকায় আম ও আলু চাষিরা হতাশায় ভুগছেন। হিমাগারের অভাবে আম কোথাও সংরক্ষণ করে রাখা যায় না। ফলে উৎপাদিত আম ও আলু মানুষ বাধ্য হয়ে কম দরে বিক্রি করেন। ওই ৪ উপজেলায় এখনো কোনো হিমাগার স্থাপন হয়নি এ অঞ্চলে এ বছর গাছে গাছে দেখা দিয়েছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হতে পারে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা।
আম চাষিরা জানান, উপজেলায় বিভিন্ন ধরনের আম চাষ হচ্ছে। সার ও কীটনাশক ওষুধের দাম বেশি থাকার পরও পর্যাপ্ত পরিমাণ আম উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অনেকেই জানেনা কোন আমের জন্য কি পরিমাণ সার ব্যবহার করতে হবে। কোন পোকার জন্য কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কি করলে আম উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হিমাগার। হিমাগারের অভাবে উৎপাদনকৃত আম সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। হিমাগারের অভাবে আম চাষিরা বাধ্য হয়ে কম দরে বিক্রি করছেন। উপজেলায় হিমাগার স্থাপন হলে এবং আম রাখার ব্যবস্থা করা হলে প্রায় সারা বছরই আম পাওয়া যাবে বলে চাষিরা জানান। এদিকে এ বছরে এ ৪ উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আলুর উৎপাদন হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। উৎপাদন ভাল হলেও বাজারে ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকেরা। কাজেই এ বছরে কষ্ট করে উৎপাদিত আলু বীজ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে স্থপিত হয়নি হিমাগার। কৃষক মামুনুর রশিদ জানান, তারা বাধ্য হয়ে পাশর্^বর্তী ফুলবাড়ী, রংপুরের বদরগঞ্জ এলাকায় বেশি ভাড়া দিয়ে হিমাগারে নিয়ে গিয়ে বীজ সংরক্ষণের জন্য রাখছে। আমচাষী রফিকুল ইসলাম জানান, অতি শিঘ্রই হিমাগার স্থাপন করা হলে তাদের উৎপাদিক উন্নত জাতের আম সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।
মন্তব্য করুন