রজব মাস শেষ হতে চলছে, শাবান মাসের পরই পবিত্র বরকতময় রমাদান মাস আমাদের মাঝে জান্নাতের সুবাতাস নিয়ে আসবে। রজব মাসে আল্লাহর নবীর মিরাজ হয়েছিল। অর্থাৎ আল্লাহর নবী সা. বায়তুল্লাহ থেকে রওনা দিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাস হয়ে মহান আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়ার জন্য ১ম আসমান থেকে পরপর ৭ আসমানে গমন করেন। পথে পূর্বের নবী-রাসূলদের সাথে সাক্ষাৎ হয়। তাকে দেখানো হয় জান্নাত-জাহান্নাম। সর্বোপরি সিদরাতুল মুনতাহায় আল্লাহর দীদার পান। ফেরার পথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াতসহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নিয়ে দুনিয়ায় চলে আসেন। মক্কার কাফের-মুশরেকরা এ ঘটনা শুনে তাচ্ছিল্য করে আল্লাহর নবীর কাছে বিভিন্ন অযাচিত প্রশ্ন করতে থাকে। মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয়নবীকে ইজ্জতের সাথে সব প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য মসজিদুল আকসা তাঁর সামনে হাজির করে দেন। তা দেখে নবী সা. কাফেরদের সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দেন। শাবান মাস রমাদান মাসের পূর্বের মাস। এ মাসে নবী সা. সবচেয়ে বেশি সাওম বা রোজা রাখতেন রমাদানের প্রস্তুতি হিসেবে। আল্লাহর শেষ নবী সা. এমনিতেই সপ্তাহে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন। এছাড়া আরবি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে ৩টি রোজা রাখতেন, যদি সফর বা অসুস্থ না হতেন। আমরাও কিন্তু এ অভ্যাস করতে পারি। তাহলে প্রতি মাসের প্রায় ৩ ভাগের ১ ভাগ রোজা রাখা হয়ে যায়। এভাবে আমরা আত্মশুদ্ধির এক অভাবনীয় প্রস্তুতি অবলম্বন করতে পারি। রোজা মূলত ফারসি শব্দ। সিয়াম বা সাওম আরবি শব্দ। সাওমের পরিভাষা, সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত নিয়ত করে পানাহার ও সকল প্রকার যৌন সম্ভোগ থেকে বিরত থাকাকে সাওম বলে। মদীনায় হিজরতের প্রায় দেড় বছর পর রমাদান মাসের পুরা মাস রোজা রাখার নির্দেশ আসে। সেখান থেকে আজ পর্যন্ত এবং দুনিয়ার শেষ পর্যন্ত রোজা রাখার নির্দেশ। রমাদান মাসের চাঁদ দেখে রোজা শুরু করতে হবে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে। আবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখে রোজা ভাঙতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, হে লোকসকল যারা ঈমান এনেছ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের নবীদের উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়েছিল। আশা করা যায়, তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে। Ñবাকারা ১৮৩। আল্লাহ বলেন, ‘রমাদান ঐ মাস, যে মাসে কুরআন নাজিল করা হয়েছে, যা মানুষের জন্য পুরাটাই হিদায়াত বা এমন স্পষ্ট উপদেশপূর্ণ যে, তা সঠিক পথ দেখায় এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যস্বরূপ। তাই এখন থেকে যে ব্যক্তি এ মাস পায় তাদের অবশ্যই কর্তব্য, সে যেন পুরো মাস সিয়াম পালন করে। কেউ অসুস্থ বা সফরে থাকলে, সে যেন অন্য সময় ঐ রোজাগুলো করে নেয়। আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ, তাই চান। যা কঠিন, তা চান না। তোমাদের এজন্যই এ নিয়ম দেয়া হয়েছে, যাতে তোমরা রোজার সংখ্যা পূর্ণ করতে পার, আর যে হিদায়াত আল্লাহ তোমাদের দিয়েছেন এর জন্য তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতে পার। Ñবাকারা ১৮৫। আল্লাহর নবী সা. বলেছেন, ‘রোজা ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ রোজা রেখে খারাপ কথা বা কাজ করবে না। মূর্খতাসুলভ আচরণ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হয় কিংবা গালমন্দ করে, সে যেন বলে দেয় আমি রোজাদার। নিশ্চয়ই আমি রোজাদার। Ñইমাম মালেক। নবী সা. বলেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা এবং সে অনুযায়ী আমল পরিত্যাগ করতে পারলো না, তবে এমন ব্যক্তির পানাহার পরিত্যাগ করার আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। Ñবুখারী। আল্লাহর নবী সা. বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে একদিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার চেহারাকে জাহান্নাম থেকে সত্তর বছর দূরে সরিয়ে রাখবেন। Ñমুসলিম, বুখারী। আল্লাহর নবী সা. বলেন, আদম সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব ১০ থেকে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, রোজা এর ব্যতিক্রম। কেননা রোজা কেবলই আমার জন্য আর এর প্রতিদান আমি নিজেই দেব।’ রোজা পালন আমার বান্দা আমারই সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে নিজের ইচ্ছা, কামনা-বাসনা এবং পানাহার পরিত্যাগ করে থাকে। রোজাদারের জন্য দুটি আনন্দ। ১. একটি ইফতারের সময়, ২. অপরটি তার রবের সাথে সাক্ষাতের সময়। নিশ্চয়ই জেনে রেখ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট সুগন্ধির চাইতেও উত্তম। Ñমুসলিম। আল্লাহর নবী সা. বলেন, ‘কেউ যদি রমাদানের রোজা পালন করে এবং পরে শাওয়ালের ছয় দিন রোজা পালন করে তবে সে যেন সারা বছরই রোজা পালন করল।’ Ñতিরমিযী, মুসলিম, আবু দাউদ। কুরআন ও হাদিসের আলোকে রমাদান মাসের আরো বিভিন্ন ফজিলত ও নিয়মকানুন বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা তার আলোকেই আসন্ন রমাদান মাসের জন্য প্রস্তুতি নেবÑ যাতে করে এই রমাদান মাসে আমরা ইবাদত করে, নিয়ামতভরা জান্নাতে যাবার সব প্রস্তুতি নিতে পারি। রমাদান মাসে ঘরের সকল বালেগ ছেলে ও মেয়েদের গোটা মাস রোজা রাখতে হবে। মেয়েদের জন্য কয়েকদিন কাজা করার সুযোগ আছেÑ যা পরবর্তী সময় রোজা রেখে পূর্ণ করে দিতে হবে। রমাদানের সময় সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। মানুষ ততদিন কল্যাণের ওপর থাকবে, যতদিন তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। Ñবুখারী। ইহুদি ও খ্রিষ্টানরা দেরি করে ইফতার করে। ইফতার সুযোগ থাকলে খেজুর দিয়ে করবে। না হলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। রোজাদারকে ইফতার করালে রোজাদারের সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। রোজাদারের সওয়াবের কোনো ঘাটতি হবে না। কারণ মহান আল্লাহর কাছে অভাবের কোনো কিছু নেই। তার ভা-ার অগণিত-সীমাহীন। রমাদানে নিজের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনকে নিয়ে সামাজিকভাবে ইফতার পার্টি দেয়া খুবই জরুরি। সওয়াব এবং সামাজিক দায়িত্ব পালনের এ এক বড় সুযোগ। রাষ্ট্রীয় ও প্রাতিষ্ঠানিক ইফতার পার্টিও করা দরকার। রমাদানের বড় একটি ইবাদত রাতে তারাবি নামাজ পড়া। এশার নামাজের পর ৮/২০ রাকাত দুই দুই রাকাত করে পড়তে হবে। সাধারণত জামায়াতে এ নামাজ আদায় করা খুবই সওয়াবের কাজ। তারাবির পরই ৩ রাকাত বেতর নামাজ আদায় করতে হয়। যাদের শেষ রাতে তাহাজ্জুত পড়ার অভ্যাস রয়েছে, তাদের তাহাজ্জুত পড়েই দিনের শেষ নামাজ ৩ রাকাত বেতর পড়তে হবে। তাহাজ্জুত নামাজ পড়া খুবই সওয়াবের কাজ এবং আল্লাহর কাছে চাওয়ার উত্তম সময়। সূরা মুযাম্মিলে তাহাজ্জুতের ব্যাপারে বা শেষ রাতের নামাজের ব্যাপারে খুবই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সপ্তম আকাশ থেকে নিম্ন আকাশে নেমে আসেন বান্দার অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য এবং তা পূরণ করে দেয়ার জন্য। সব গুনাহ মাফ করার জন্যও তিনি বান্দাদের ডাকতে থাকেন। রমাদান মাসে যেহেতু সওয়াব অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়, তাই আমাদের দেশের লোকজন ইসলামের অন্যতম ফরজ ‘যাকাত’ এই মাসেই আদায় করে থাকেন। তাই এখন থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যাদেরই জাকাত দেয়ার মতো টাকা-পয়সা আছে, তাদের হিসাব-নিকাশ ঠিক করতে হবে। জাকাতের সহজ হিসাব হলো আপনার গোটা বছরের খাওয়া-পরা বাদে যদি ১০০ টাকা সারা বছর আপনার কাছে উদ্বৃত্ত থাকে, তবে আপনাকে আড়াই টাকা জাকাত দিতে হবে। জাকাত কিন্তু দান বা করুণা নয়। ধনীর উদ্বৃত্ত টাকার আড়াই শতাংশ গরিবের হক। গরিবকে এই টাকা না দিলে পুরো টাকাটাই আপনার জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে। তাই সাবধান থাকতে হবে। যাকাত দেয়ার ব্যাপারে শাড়ি-লুঙ্গি দেয়ার চেয়ে একজনকে স্বাবলম্বী করার জন্য সেলাই মেশিন, রিকশা-ভ্যান, হাঁস-মুরগি পালনসহ ছোট ছোট উৎপাদনমুখী ব্যবসার জন্য জাকাতের টাকা মানুষকে দিলে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র উপকৃত হবে। ইসলামী রাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক যাকাত ফান্ড করার সুযোগ আছেÑ এই প্রথা চালু করলে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ, গরিব মানুষের কাজের সংস্থান করা যেতে পারে। সমাজ রাষ্ট্রের লোকদের এ ব্যাপারে সজাগ-সচেতন হওয়া একান্ত জরুরি। রমাদানের অন্যতম কাজ সেহরী খাওয়া। শেষ রাতে সুবেহ সাদিকের আগ পর্যন্ত সেহরী খাওয়া যায়। সেহরী খাওয়া নবীর সা. সুন্নত। সেহরীতে অনেক বরকত রয়েছে। খেজুর উত্তম সেহরী। আল্লাহর নবী বলেছেন, ‘তোমরা এক ঢোক পানি হলেও সেহরী খাও।’ Ñআত-তারগীব। রমাদান মাসে সাধারণ দান-সাদাকা করা জরুরি। রমাদান মাস সওয়াব কামানোর মৌসুম। অতএব দান-সাদাকাসহ সব প্রকার ভালো কাজ, ওয়াজ-নসিহত, ইসলামের বাণী প্রচার-প্রসারে সব রাস্তা খুলে দিয়ে যত পারা যায় গুনাহ মাফ করাতে হবে। ভালো কাজের আদেশ, মন্দ কাজের নিষেধের প্রচার-প্রসার করতে হবে। রমাদান মাসে রহমতের সব দরজা খুলে দেয়া হয়। শয়তানকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। তাই ভালো কাজের বরকত বহুগুণে অর্জন করার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহর নবী সা. বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেয়া হয় না। সন্তানের জন্য মা-বাবার দোয়া, সিয়াম পালনকারীর দোয়া, মুসাফিরের দোয়া। রমাদান মাসের শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর খুঁজতে বলা হয়েছে। লাইলাতুল কদর হলো হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। তাই আমাদের অবশ্যই লাইলাতুল কদর পেতেই হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের দেয়ার জন্যই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। তাই এই রমাদানের শেষ দশ দিনের বেজোড় রাত তালাশ করে তার উত্তম ফজিলত হাসিল করার ব্যবস্থা করতে হবে নিজে, ঘরের সব লোক সাথে নিয়ে এবং সামাজিকভাবে শবেকদর খোঁজার ব্যবস্থা করতে হবে। রমাদান মাসের বড় ইবাদতের কাজ হলো ইতিকাফ করা। সাধারণত নবী সা. রমাদান মাসের শেষ দশ দিন মসজিদে ইতিকাফে বসতেন। বর্তমানে অনেক মসজিদ ইতিকাফের বিশেষ ব্যবস্থা করে থাকে। তারা সেহরী, ইফতার ও রাতের খাওয়ার ব্যবস্থাপনা মসজিদ কমিটি থেকেই করে থাকে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা তাদের পরিশোধ করতে হয়। ফলে ইতিকাফ কারীদের বাসা থেকে খাওয়ার সাপ্লাই করতে হয় না। এতে মুসলিমদের ইবাদতের সুবিধা হয়। ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার নিকট জাকাত নিসাব হওয়া পরিমাণ সম্পদ থাকে এমন প্রত্যেক রোজাদারের ওপর সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব করে দেয়া হয়েছে। এক সা পরিমাণ খেজুর বা যব বা যে দেশে যে খাদ্য সাধারণ মানুষ খায় তার ওপর নির্ভর করে। আমাদের দেশে গম বা চাল পৌনে দুই কেজি বা সাবধানতার জন্য ২ কেজি পরিমাণ চাল বা গম বা তার দাম গরিব-মিসকিনকে দিলেই হবে। দিতে হবে ঈদুল ফিতরের নামাজের পূর্বেই। ঐদিন সকালেও যদি কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করে তার জন্যও ফিতরা দিতে হবে। রোজার শেষে শাওয়াল মাসের ১ম দিন ঈদুল ফিতরের নামাজ জামায়াতে পড়তে হয়। ছেলেমেয়ে ছোট-বড় সবাই পারলে নতুন কাপড়, না হলে পবিত্র পুরান ভালো কাপড় পরে ঈদগাহে যেতে হয়। গোটা দুনিয়ায় মুসলমানদের এই দিন খুবই আনন্দের ও খুশির বার্তা বয়ে আনে। ঈদকার্ড বিতরণ করা হয়, ঈদশুভেচ্ছা দেয়া হয়। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবেও ঈদের খুশির ভাগাভাগি করা হয়। অমুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দেশে-বিদেশে ঈদের পূর্বেই ঈদের জামাকাপড়সহ খাওয়া-দাওয়া, ইফতারের খেজুরসহ বিভিন্ন আইটেম সংগ্রহ করার কাজ মূলত ব্যবসায়ীরা আঞ্জাম দিয়ে থাকে। আমাদের দেশের কিছু অসৎ ব্যবসায়ী রোজার পূর্বেই জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে থাকে, যা খুবই দুঃখজনক। সৌদি আরবসহ বেশকিছু দেশে রোজা ও ঈদের সময় জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক রাখে, পারলে কোনো জিনিসের দাম কমিয়ে দেয়, যা খুবই ভালো দৃষ্টান্ত।রোজার সময় ওমরাহ করা খুবই উত্তম ও সওয়াবের কাজ। সম্ভব হলে এই সময় জীবনে একবার হলেও ধনী ভাইয়েরা ওমরাহ করতে পারেন। রোজার সময় কাবাঘরে এবং মসজিদে নববীতে ইফতারের প্রচলিত রেওয়াজ খুবই আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য। মুসলমান জাতি যে সুশৃঙ্খল ও একের প্রতি আরেকজনের দরদ ও সহমর্মিতা, তা এই ইফতারের সময় বোঝা যায়। রোজার সময় ইসলামের ৫ স্তম্ভের সবগুলোরই বাস্তব অনুসরণ করা এক বাস্তব মৌসুম হিসেবে নিয়ে প্রকৃত-সাচ্ছা ঈমানের পরিচয় দিয়ে ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, তারাবি ও তাহাজ্জুতের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন করে। সহিহভাবে গোটা মাস রোজা রেখে হজ ও জাকাতের মাধ্যমে সহাবস্থান ও ধনী-গরিব সবার সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করি। সমাজে, দেশে-বিদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করে দুনিয়ার শান্তি প্রতিষ্ঠা করে আখিরাতের মুক্তির সব ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নিয়ে আসুন জান্নাতের নিয়ামতভরা আবাসের সন্ধান করি এবং প্রস্তুতি নিই।
সংগ্রহেঃ মোঃ রুহুল আমিন প্রধান, সহ-সম্পাদক, সাপ্তাহিক হিলিবার্তা ও প্রতিনিধি দৈনিক তিস্তা।
মন্তব্য করুন