ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) থেকে শফিকুল ইসলামঃ
সরকার আসে, সরকার যায়। তাদের সংসদ সদস্যরা, নেতা-কর্মী, চেয়ারম্যান, মেম্বার মাইলা নদী বিন্যাগাড়ী ঘাটের উপর ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রæতি দিলেও এভাবে অতিবাহিত হয়েছে স্বাধীনতার পরবর্তী প্রায় ৪৯ বছর। মাত্র একটি সেতুর জন্য এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ষা মৌসুমে নৌকা কিংবা কাঠের তৈরী সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের মাইলা নদীর বিন্যাগাড়ী ঘাটে এলাকাবাসীর ব্রীজ নির্মাণের দাবী দীর্ঘ দিনের। বন্যার সময় এই নদীর উপর ব্রীজ না থাকায় প্রতিনিয়ত ৩০টি গ্রামের লোকজন সহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা-কিংবা কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে ঐ স্থানে সাঁকোর উপর থেকে পানিতে পরে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে স্কুল- কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ পথচারীরা। শুষ্ক মৌসুমে ঐ সাঁকো দিয়ে পারাপার এলাকাবাসীর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। ঘোড়াঘাট উপজেলার বিন্যাগাড়ী ঘাটের উত্তরে মারুপাড়া, কৃষ্ণরামপুর, সোনারপাড়া, পাবর্তীপুর, বিন্যাগাড়ী, ডাঙ্গা, কুলান্দপুর, শ্রীচন্দ্রপুর, রঘুনাথপুর ও রংপুরের পীরগঞ্জের চতরা, খালাসপীর, ঘাসিপুর সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের ৮০-৯০ হাজার লোকের বসবাস। কৃষি পণ্য উৎপাদনের জন্য এসব অঞ্চল বিখ্যাত । এই গ্রাম গুলোতে রবি শস্য যেমম- আলু, পিঁয়াজ, রসুন, হলুদ, মরিচ সহ প্রায় সব রকম শস্যই চাষ হয়। এলাকার চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়। এসব অঞ্চলের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যেতে ভোগান্তীর শিকার হতে হয়। তাই দিনাজপুর ঘোড়াঘাট উপজেলার মাইলা নদী বিন্যাগাড়ী ঘাটের সেতু নির্মাণ করা হলে, এলাকাবাসী সহ কৃষি পণ্য সরবরাহ করতে সুবিধা হবে। উপজেলার বুলাকীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজার রহমান জানান, সেতুর অভাবে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সঠিক ভাবে বাজারজাত করতে পারছেনা। তিনি আরো জানান সেতু নির্মানের বিষয়টি দিনাজপুর- ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি সেতু নির্মানের বিষয়ে আস্বস্থ করেছেন। ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবিব জানান- বিন্যাগাড়ী ঘাটে ব্রীজ নির্মাণ করা হলে প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ কৃষিপণ্য সঠিকভাবে বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে পারবে।
মন্তব্য করুন