মোঃ শফিকুল ইসলাম, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যতদুর চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠকে মাঠ বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে চাষ করা বোরো ধান। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে বোরো ধান চাষীরা। একই সময় করোনা ভাইরাস ও লকডাউনের কারণে দর পতনের আশঙ্কাও করছে চাষীরা। লকডাউনের কারণে শ্রমিক সংকট দেখা দিলেও অনেক বড় বড় পরিবার গুলো আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ধান কেটে নিচ্ছে। বোরো চাষীদের সাথে কথা বলে দেখা গেছে তিন চারদিন পূর্বেও প্রতি মন ধান এক হাজার টাকা বিক্রি হলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে দর পতনে নেমে এসেছে সাড়ে ৮শত টাকায়। উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে প্রতি বিঘা জমির ধান কাটা, চাষীর বাড়ি পৌছে দেওয়া ও মাড়াই সহ সাড়ে ৪ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। বাজার পতন ঘটলে কৃষকদের বোরো চাষে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় বোরো চাষীরা দ্রæত সময়ের মধ্যে শ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন হারভেস্টার মেশিনের মাধ্যমেও ধান কেটে ঘরে তোলার ব্যস্ত সময় পার করছে। বোরো চাষী হাসিবুল ইসলাম শান্ত বলেন, বাজার দর পতনের তিন চার দিন আগেও প্রতি মন ধান ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। অথচ তিন চার দিনের ব্যবধানে দরপতন হয়ে প্রতি মন ধান এখন বাজারে ৮শ থেকে সাড়ে ৮শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পর্যাপ্ত ধান উঠলে দর পতনের আশঙ্কাও রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাস হোসেন সরকার জানান, ১২১৯৮ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও চলতি মৌসুমে বোরো চাষ হয়েছে ৯২৩৩ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার সরবরাহ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৮ হাজার ৪৪৩ মেট্রিক টন। ধান চাল ক্রয়ের সরকারি মূল্য নির্ধারন করা হলেই বাজার পতনের সম্ভাবনা নাই। ইতিমধ্যে উপজেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হলেও আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে চাষীরা ধান ঘরে তুলতে পারবে।
মন্তব্য করুন