নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান
প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় সংসদ সদস্যের পর তদন্ত করলেন এডিসি আসিফ মাহমুদ। এসময় নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আল মামুন, উপজেলা প্রকৌশলী রেফাউল আজম উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে এডিসি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার গৃহহীনদের বসবাসের আবাসস্থল নির্মাণ হবে স্বচ্ছভাবে। কোন ধরণের অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না। তিনি নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ইট দ্রুত অপসারণের নির্দেশ দেন। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ৮নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রহিম বাদশা জানান, ইটভাটায় গুণগত মানসম্পন্ন ইট উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে দেখিয়ে নির্মাণের জন্য ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য গত ২৫ মে অভিযোগের ভিত্তিতে দিনাজপুর ৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক পরিদর্শন করে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর নির্মাণে নিম্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে নির্মাণ কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার দাবি নির্মাণ কাজ বন্ধ নয় কাজ চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধু পল্লীতে ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় নিম্মমানের সামগ্রী দেখে তিনি কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেন। নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় স‚ত্রে জানা যায়, এবার উপজেলায় ৪০০ ভূমিহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে মাহমুদপুর ইউনিয়নে ১২০টি ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঘরগুলো আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শেষ হবার কথা। প্রতিটি ঘরের নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ টাকা। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে দিনাজপুর-৬ আসনের এমপি শিবলী সাদিক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে নিম্নমানের সামগ্রী দেখতে পাই। পরে সেগুলোকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছি এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।
মন্তব্য করুন