লালমিনরহাট থেকে এ,এল,কে খান জিবু #
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের ৭নং ওয়ার্ড সাফিউল ইসলামের স্ত্রী শাপলা বেগম গতবছর একসাথে তিন সন্তান প্রসব করেন। ৪ জুন শনিবার তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এদের একজন মেয়ে এবং দুজন ছেলে সন্তান। এছাড়াও তাদের ঘরে ৪ বছর বয়সী আরেক কন্যা সন্তান আছে। তাদের পরিবার থেকে জানা যায় এক সাথে তিন সন্তান প্রসবের পর শাপলা বেগম মাতৃত্ব জনিত রোগ ও হার্টের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। অবশেষে তার নাড়ী ছেড়া চার সন্তান শাম্মী, সাথী, সাইদ ও আব্দুল্লাহ কে রেখে গতকাল এই দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন এই মা। বাড়িতে গিয়ে এই অবুঝ বাচ্চাদের দেখে মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেল। যারা কেউ বুঝতে পারছে না কোথায় গেছে তাদের মা। আর যে কখনও ফিরবে না তাদের মা, আর যে কখনো কোলে নিয়ে চুমু খাবে না, আদর করবে না! তাদের খাইয়ে দিবে না, গোসল করায়ে দিবে না! কোথায় পাবে মায়ের ভালোবাসা!!? ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছু নেই সাফিউলের, সংসার চালাতে তাই ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে সে। ফলে সবসময় বাড়ি ছেড়ে তাকে ঢাকায় থাকতে হয়। তাই এই চার নাতি নাতনিকে নিয়ে বিপাকে পরেছেন তাদের দাদি। তিনি কেঁদে কেঁদে বলেন এক সাথে তিন বাচ্চা জন্মের পর সাংবাদিক সহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সামিউল আমিন, উপজেলা ভূমি কমিশনার,গড্ডিমারী ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান ডাঃ আতিয়ার রহমান দেখতে এসে তাৎক্ষণিক কিছু সাহায্যে সহযোগীতা করেন,কিন্তু এর পর অনেককেই ছবি তুলতে আসলেও তাদের মা মারা যাওয়ার পর কেউ বাচ্চাদের খবর নিল না! গড্ডিমারী ইউরিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল তিনি ঢাকায় অবস্হান করায়,প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সাফিউলের বাবা বলেন আমার যা ছিল,য় ঋন করে হলেও বউমার চিকিৎসা করি, কিন্তু তাকে বাঁচাতেও পারলাম না এখন হতাশায় আছি কিভাবে এই বাচ্চাদের লালন পালন করব তাই আমি ইউনিয়ন পরিষদ,উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
মন্তব্য করুন