লালমনিরহাট থেকে এ,এল,কে খান জিবু #
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়া বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষন্ড স্বামী সুলতান ও তার মা-ভাই ভাবীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগের ৪৫দিন অবহিত হলেও তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলা পাটিকাপাড়া গ্রামের মৃত ওসমান গনির স্ত্রী কারিমা বেগম, ছেলে সুলতান, আবু বক্কর সিদ্দিক ও অবু বক্করের স্ত্রী রহিমা বেগম।ভুক্তভোগী রুবিয়া উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার শওকত আলীর মেয়ে।জানাগেছে, প্রায় দশ বছর আগে রুবিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুলতানের। ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময় বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় আর ৫০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়। বিয়ের পর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে রুবিয়ার উপর। কারণে অকারণে সেই টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ৩৭ বার শালিস বৈঠক হয়েছে। এরপরেও নির্যাতনের খড়ক কমেনি রুবিয়া বেগমের উপর। এমন অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। রুবিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। রুবিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ২৬এপ্রিল স্বামীকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার ৪৫দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি নথিভ‚ক্ত করেনি পুলিশ।এ বিষয়ে ভ‚ক্তভোগী রুবিয়া বলেন, ‘প্রায় ২মাস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ আপোস মিমাংসা করার জন্য বলছে। আর মামলা নথিভ‚ক্ত করতে হলে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। আমরা গরির মানুষ টাকা কোথায় পাবো’। অভিযুক্ত সুলতান বলেন, ‘আমি কোন মারধর করিনাই। এটা আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে’। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকুমার রায় বলেন, ‘আমি কোন টাকা ঘুষ চাই নাই। ওই মেয়ে তার স্বামীর নিকট ৫শতক জমি লিখে চায়। নতুবা সংসার করবে না’।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলা পাটিকাপাড়া গ্রামের মৃত ওসমান গনির স্ত্রী কারিমা বেগম, ছেলে সুলতান, আবু বক্কর সিদ্দিক ও অবু বক্করের স্ত্রী রহিমা বেগম।ভুক্তভোগী রুবিয়া উপজেলার কেতকীবাড়ী এলাকার শওকত আলীর মেয়ে।জানাগেছে, প্রায় দশ বছর আগে রুবিয়ার সাথে বিয়ে হয় সুলতানের। ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময় বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৫০ হাজার টাকা নগদ দেওয়া হয় আর ৫০ হাজার টাকা বাকি রাখা হয়। বিয়ের পর বাকি ৫০ হাজার টাকা দিতে না পারায় নির্যাতনের খড়ক নেমে আসে রুবিয়ার উপর। কারণে অকারণে সেই টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ৩৭ বার শালিস বৈঠক হয়েছে। এরপরেও নির্যাতনের খড়ক কমেনি রুবিয়া বেগমের উপর। এমন অবস্থায় গত ২৪ এপ্রিল যৌতুকের টাকার জন্য রুবিয়াকে মারধর করেন অভিযুক্তরা। রুবিয়ার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। রুবিয়া কিছুটা সুস্থ হয়ে গত ২৬এপ্রিল স্বামীকে প্রধান আসামী করে ৪জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু ঘটনার ৪৫দিন পেরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারণে অভিযোগটি নথিভ‚ক্ত করেনি পুলিশ।এ বিষয়ে ভ‚ক্তভোগী রুবিয়া বলেন, ‘প্রায় ২মাস হয়ে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পুলিশ আপোস মিমাংসা করার জন্য বলছে। আর মামলা নথিভ‚ক্ত করতে হলে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। আমরা গরির মানুষ টাকা কোথায় পাবো’। অভিযুক্ত সুলতান বলেন, ‘আমি কোন মারধর করিনাই। এটা আমাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে’। অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকুমার রায় বলেন, ‘আমি কোন টাকা ঘুষ চাই নাই। ওই মেয়ে তার স্বামীর নিকট ৫শতক জমি লিখে চায়। নতুবা সংসার করবে না’।
মন্তব্য করুন