সীমান্ত জেলা লালমনিরহাটে দিন দিন বেড়ে চলছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শহরে গত কয়েকদিনে উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে করোনা সংক্রামণের হার। এদিকে আইসলোশনে থাকার ভয়ে করোনা নমুনা দিচ্ছেন না মানুষ।ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা জেলা লালমনিরহাটের ৫উপজেলার সঙ্গে ভারতীয় সীমান্ত সংযুক্ত। জেলার ২৮৪ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৫৪কিলোমিটার অংশেই কাটাতারের বেড়া নেই। এ জেলায় এখন পর্যন্ত ১হাজার ১৭৯জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ১৭ জনে পৌঁছেছে।বুড়িমারী স্থলবন্দরসহ অবৈধভাবে ভারত ফেরত ১৩জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের ১০জনের নমুনা আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো হলেও ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আছে কিনা তার রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশী অনেকে ভারতে যাতায়াত করায় এ জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট থাকতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।লালমনিরহাট সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে সদর হাসপাতালসহ জেলার সকল হাসপাতালে জ্বর, সর্দ্দিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃবিভাগে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। যাদের অধিকাংশ জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও নিউমেনিয়া আক্রান্ত। তাদের নমুনা টেষ্ট করলে অনেকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা যায়, প্রচন্ড রোদ আবার কখনও বৃষ্টিতে শীতল হাওয়া নিয়ে চলছে লালমনিরহাটের আবহাওয়া। আবহাওয়ার এ বিরূপ প্রভাবে জ্বর, সর্দ্দি, কাশি ও নিউমেনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। প্রায় বাড়িতে রয়েছে জ্বর, সর্দ্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগী। অনেকেই করোনা আক্রান্তের ভয়ে পল্লী চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।জ্বর, সর্দ্দি ও কাশিতে আক্রান্ত রোগীরা অনেকেই জানান, আগের তুলনায় এ জ্বরের প্রকোপ অনেক বেশি। জ্বরের সঙ্গে সমস্ত শরীরের মাংসপেশী ও হাড়ের জয়েন্টে প্রচÐ ব্যথা অনুভব হচ্ছে। কাশিতে বুকে ব্যথা হচ্ছে। অনেকের শ্বাসকষ্টও দেখা দিচ্ছে। যা প্রাথমিকভাবে করোনার লক্ষণ ভেবে অনেকেই আইসলোশনের ভয়ে গোপনে পল্লী চিকিৎসকদের স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। পল্লী চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হওয়া রোগীদের সংখ্যা গ্রামে বেশি। তবে শহরের লোকজন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে গেলেও আইসলোশনে থাকার ভয়ে করোনা নমুনা দিচ্ছেন না তারা।লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, করোনায় এ পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১৭৯ জন।এরমধ্যে ১৩ জনই ভারত ফেরত। তাদের ১০ জনের নমুনা আইইডিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু রিপোর্ট না আসা পর্র্যন্ত সীমান্তবর্তী এ জেলায় ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট এসেছে কিনা তা বলা যাচ্ছে। করোনামুক্ত থাকতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাটে বেড়েই চলেছে করোনা রুগী, ভয়ে নমুনা দিচ্ছেন না মানুষ।
লালমনিরহাট থেকে এ,এল,কে খান জিবু#
মন্তব্য করুন