ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর)থেকে মোঃ শফিকুল ইসলাম শফি।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে আরও ৫০০টি অসহায়, ভূমিহীন, গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে পাকা ঘর।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি হচ্ছে এসব স্বপ্নের বাড়ি। ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন এসব ঘর করতে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ১০ কোটি টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ ২ লক্ষ টাকা। এ টাকায় তাদের জন্য ২০ ফুট বাই ২৩ ফুট প্রস্থের ঘরে রয়েছে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর, রুমের পিছনে টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা।
উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫০০টি ঘরের নির্মাণ কাজ দ্রæত গতিতে চলছে। ঘর গুলোতে শোভা পাচ্ছে মেরুণ রঙের টিনের ছাউনি । গুণগত মান সম্পন্ন এসব ঘর গুলো এলাকাবাসীর নজর কেড়েছে। গৃহহীনরা তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন দেখতে শুরু করেছে। আর কিছু দিন পর এসব ঘরে উঠবে তারা।
বৃহস্পতিবার (১৭ই জুন) উপজেলার লালমাটি, কাদিমনগর, কুলানন্দপুর, ভেলাইন, কলাবাড়ী, আইমারা-বিল, গোপালপুর. বলাহার, অহিউড়া, ধাওয়া মাঝিয়ান, চোপাগাড়ি, সিংড়া, ভেলামারি, নুরপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, গৃহহীনদের বাড়ি নির্মাণ কাজ শেষের পথে। ঘর নির্মাণ যেন সঠিক ভাবে হয়, সেই দিক বিবেচনা করে নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গুণগত মান সম্পন্ন ইট, বালু ও সিমেন্ট। তবে ঘর নির্মাণে কোন অভিযোগ আসলে তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন উপজেলা প্রশাসন বলে স্থানীয়রা জানান ।
আগামী ২০ শে জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপের আশ্রায়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। ঐ দিন ঘোড়াঘাট উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে এসব ঘর ও দুই শতক জমির দলিল সুবিধাভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করবেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমান বলেন, সরকার মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে অসহায় ভূমিহীন, গৃহহীনদের মাথা গোঁজানোর ঠাঁই হিসেবে টেকসই বাড়িঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলায় ৫০০টি পরিবার পাচ্ছেন নতুন পাকা ঘর। সামান্য কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা অতি দ্রæত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
উপজেলার পালশা ইউপি চেয়ারম্যান কবিরুল ইসলাম জানান, ইউএনও মহোদয় মুজিব বর্ষে সুবিধা ভোগীদের গুণগত মান সম্পন্ন পাকা ঘর উপহার দিতে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে ঘর গুলোর নিয়মিত তদারকি করছেন। যাতে তারা সকলে ভালো মানের ঘর উপহার পান। কাজের যেন কোন অনিয়ম না হয় সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।
এদিকে ভূমি ও গৃহ পাচ্ছেন এমন কয়েকজন সুবিধাভোগী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাকা ঘর পেয়ে তারা খুবই খুশি। সারাদিন মাঠে-ঘাটে পরিশ্রম করে নিজের বাড়িতে থাকতে পারবে এর চেয়ে খুশির আর কি হতে পারে। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্য দীর্ঘায়ু ও দোয়া কামনা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীন অসহায় পরিবার গুলোকে উপহার স্বরুপ পাকা বাড়ি করে দিচ্ছেন। ফলে সমাজের অবহেলিত মানুষ গুলোর সামাজিক মূল্যায়ন বৃদ্ধি সহ প্রাত্যহিক জীবনে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। এর আগেও প্রকল্পের প্রথম ধাপে এ উপজেলায় ৫৬৭টি পরিবারের কাছে বাড়ির দলিল হস্তান্তর করা হয়।
মন্তব্য করুন