লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ মামলা করেও যদি বিচার ও পরিবার নিয়ে নিরাপদে থাকতে না পারি আগামী ১০ দিনের মধ্যে পরিবারের সবাই একসাথে আত্মহত্যা করবো বলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকায় ছোটভাইয়ের হুমকি এবং ভয়-ভীতি থেকে বাঁচতে বড়ভাই সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন,মামলার বাদী মিজানুর রহমান (৫২) ও প্রধান আসামি গোলাম রব্বানী (৩৫) উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের পুর্ব কাদমা এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র।শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় রিপোর্টার্স ক্লাব হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী মিজানুর রহমান।মামলার অভিযোগসুত্রে জানা গেছে, গত ২০ এপ্রিল জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বড়ভাই মিজানুর রহমানের উপর ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে আক্রমণ করেন ছোটভাই গোলাম রব্বানী (৩৫)।পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এলাকাবাসী।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহণের পর বড়ভাই মিজানুর রহমান তার ছোটভাইসহ ৫জনের নামে মামলা করেন। ( হাতীবান্ধা থানার মামলা নং- ১৬, তারিখ- ০৫-০৫-২০২১ং অভিযোগ গ্রহণের পর মামলার প্রধান আসামি গোলাম রব্বানীকে গ্রেফতার করে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।কিছুদিন জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবার বড়ভাইয়ের জমি দখল এবং বাড়ি ভিটা উচ্ছেদের হুমকি দিতে শুরু করেন ছোটভাই গোলাম রব্বানী।সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, মামলায় অভিযুক্ত হয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েই গত বুধবার ১৭ জুন আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের মারধর ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে গোলাম রব্বানী। আমি আমার এবং পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য থানায় আবারও লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।তিনি আরও বলেন, ছোটভাইয়ের হুমকিতে পড়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি এর উপযুক্ত বিচার কামনা করছি।মামলার প্রধান আসামি গোলাম রব্বানীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারও উপর আক্রমণ করিনি। আমার বড়ভাই মিজানুর রহমান আমাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বজলুল রশিদ জানান আমরা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যা পেয়েছি মিজানুর কে থানায় আর একটি অভিযোগ দায়ের করতে বলা হয়েছে। এ হাতীবান্ধা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানি, এর আগে অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আবারও মামলার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন