জুন ক্লোজিং এ  চলছে ভুয়া বিল ভাউচারের ধুম  প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ।

Spread the love

এ,এল,কে খান জিবু #
লালমনিরহাট জেলা  প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষনাবেক্ষণ (কাবিটা) ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টিআর) উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। চলতি জুন মাসে অর্থ বছর ক্লোজের টার্গেট নিয়ে মাঠ পর্যায়ে খোঁজ না নিয়েই প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) অফিসে দেয়া হচ্ছে কাজ না করা এসব প্রকল্পের চেক।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরে প্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) নির্বাচনী এলাকা ভিত্তিক ৩য় পর্যায় কর্মসূচির আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পে সদর উপজেলার মোঘলহাট ইউনিয়ন“নিজাম মুন্সির বাড়ী হতে সুজালের বাড়ীর পশ্চিমে তেপতি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের” জন্য ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু এ প্রকল্পের সভাপতি মোঘলহাট ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আয়নাল হক। তিনি শুধু রাস্তার উঁচু নিচু সমান করে প্রথম দফার বিল উত্তোলন করে নিয়ে কাজ আর করেননি।এখন বাকি কাজ না করে পুরো টাকা উত্তোলন করতে ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে পিআইও অফিসে ঘুরছেন। সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মোসলেম উদ্দিন নিজ এলাকার ‘তিন কানিয়া মাঠ হতে আব্দুর মহুরীর বাড়ী হয়ে সিদ্দিকুরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার’ প্রকল্পে ৩ লাখ ৭ হাজার ২৮৪ টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। তিনি নিজেই প্রকল্পের সভাপতি। তিনি নিজেও পুরো কাজ না করেই পুরো বিল উত্তোলনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।এদিকে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পে ইউনিয়নের ‘খোলাহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট’ কাজের জন্য ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক জুলফিকার আলী বুলু নিজেই প্রকল্পের সভাপতি। তিনি মাটি ভরাট না করেই পুরো বিল উত্তোলন করতে (পিআইও) অফিসে ঘুরছেন।সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের ‘হারাটি ডিএসআই দাখিল মাদ্রাসা সংস্কার’ ১লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রকল্পের সভাপতি ও ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আব্দুর সালাম সরকার মঞ্জু কাজ না করেই বিল উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের এমপি জিএম কাদেরের নির্বাচনী এলাকা হওয়ায় পার্টির নেতাকর্মীরা টিআর- কাবিটা প্রকল্পের কোন কাজ ঠিক মতো করছেন না। ক্ষমতা দেখিয়ে একের পর এক বরাদ্দ নিয়ে এসে নেতাকর্মীরাই লুটপাট করে খাচ্ছেন। যে পরিমান বরাদ্দ তার অর্ধেক টাকা দিয়েও যদি কাজ করা হতো তাতে কিছুটা হলেও রাস্তাগুলো ভালো থাকতো। কিন্তু তারা শুধু রাস্তার গর্তগুলো ভরাট আর রাস্তার উঁচু নিচু সমান করেই পুরো বিল উত্তোলন করছেন। জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা কাজ না করেই অফিসে পার্টির ক্ষমতা দেখিয়ে এসব বিল উত্তোলন করছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোঘলহাট ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির আহবায়ক আয়নাল হক জানান, তিনি কোন প্রকল্পের কাজ করছেন না। তার নাম দিয়ে অন্য কেউ কাজ করতে পারে। তবে, প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে আপনার নামে স্বাক্ষর রয়েছে, স্বাক্ষরটি কার ? এমন প্রশ্ন করলে আয়নাল হক কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।লালমনিরহাট সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান বলেন, কাজ না করে কেউ পুরো বিল উত্তোলন করতে পারবে না। সরেজমিনে কাজ পরিদর্শন করে তার পরেই বিল উত্তোলন করার অনুমতি দেয়া হবে।।

Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।