মামলা করেও সম্পত্তি রক্ষায় অসহায়  হাতীবান্ধার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।

Spread the love

এলকে খান জিবু# লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সদ্য প্রায়ত মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের বসতভিটে সহ জমি দখলের চেষ্টা করেন আব্দুস সালাম গং। এ নিয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দুলালী বেগম। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম গংরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিলে দা দিয়ে কুপিয়ে যখম করা হয় মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ময়নাকে। এ ঘটনায় গত ০২ জুলাই শুক্রবার রাতে সালামকে প্রধান আসামী করে ৭জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ময়না বেগম। মামলার বিবরণে অভিযুক্তরা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি এলাকার মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আঃ সালাম, সালামের স্ত্রী দীপ্তি বেগম, সালামের মা সালেহা, মৃত খোলা শেখের ছেলে মোখলেছার, মোখলেছারের স্ত্রী মেনেকা, আলমগীর হোসেনের ছেলে জাহিদ ও খোরশেদের ছেলে লিমন।জানাগেছে, আজিজার রহমানের তিন মেয়ে। তার কোন ছেলে নেই। মৃত্যুর আগে তার সব সয় সম্পত্তি স্ত্রী দুলালী বেগমের নামে দলিল করে লিখে দেয়। আর গত ০২জুন তিনি মৃত্যু বরণ করেন। আজিজারের কোন ছেলে না থাকায় তার ভাই ভাতিজারা সেই সম্পত্তি নিজ দখলে নিতে নানা নির্যাতন শুরু করেন। এ নিয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী দুলালী বেগম। আর এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে সালাম গংরা মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় বাঁধা দিলে দা দিয়ে কুপিয়ে যখম করে মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে ময়নাকে। ময়নার ক্ষতস্থানে ৩টি সেলাই দিয়েছেন চিকিৎসক।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ময়না বলেন, আমার কোন ভাই নেই। আমারা তিন বোন। এক বোন স্বামী নিয়ে ঢাকায় থাকে। ছোট বোন পাগলী। আমি আর আমার স্বামী এই বাড়িতে থাকায় সালাম ও মোখলেছার আমাদেরকে এখান থেকে চলে যেতে বলে। আমরা চলে না যাওয়া তারা আমাদের উপর হামলা করে। সালাম আমাকে মেরে ফেলার জন্য দা দিয়ে কোপ দেয়। আমি সরে গেলে তা আমার হাতে লাগে। আমার হাতে তিনটা সেলাই পড়েছে। তারা আমাদের সম্পত্তি দখলে নেওয়ার জন্য এসব করছে। সালাম একজন সন্ত্রাসী। থানায় তার নামে অনেক মামলা আছে। সে মদ, গাঁজা, ইয়াবা ও দেহ ব্যবসা করে। তারা আমাদের মেরে ফেলবে। দয়া করে আমাদের বাঁচান বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন ময়না। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আঃ সালাম বলেন, তাকে কোন মারধর করা হয়নি। সব মিথ্যা ও বানোয়াট। এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম এর সঙ্গে কথা বললে, তিনি জানান অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।