স্ট্যাফ রিপোর্টার এম রুহুল আমিন প্রধান ।
দিনাজপুর শহরের পশ্চিম বালুয়াডা অন্ধ হাফেজ মোড় নিবাসী সকলের পরিচিত সেই ‘অন্ধ হাফেজ’ কবিরাজ মো. আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন। বার্ধক্য জনিত কারণে ৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার অনুমানিক সকাল সাড়ে ৮ টায় নিজ বাড়ীতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ৬ ছেলে, ৩ মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে যান। স্থানীয় কাউন্সিলর আল মামুন রশিদ ও মোড়ের কয়েকজন বয়জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি জানান, জন্মগত অন্ধ মো. আব্দুর রাজ্জাক কোরআনের একজন হাফেজ ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে বিরল উপজেলার জয়হার গ্রাম থেকে শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের বালুয়াডাঙ্গায় (বর্তমানে অন্ধ হাফেজ মোড়) এসে বসবাস শুরু করেন তিনি। এরপর সেখানে তিনি সব ধরনের অদ্ধ্যাতিক চিকিৎসা, কবিরাজি ঔষধ ও তেল সরবরাহ করতেন। প্রায় ৩ বছর কবিরাজি করার পর ব্যাপকভাবে সাড়া পান এবং সকলের কাছে অন্ধ হাফেজ নামে পরিচিতি লাভ করেন। সকলের পরিচিত আদ্ধাতিক গুনাবলি সম্পন্ন অন্ধ হাফেজ বাড়ী থেকে খুব কম বের হতেন। জেলার বাহিরেও অনেকে তার কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং প্রতিকারও পেয়েছেন। বিভিন্ন জেলার লোকজন তাঁর খোজে আসতেন আর বলতেন অন্ধ হাফেজ এর বাসা কোনটা। এভাবেই এক পর্যায়ে ১৯৭৬ সালে ওই জায়গার নাম পড়ে যায় অন্ধ হাফেজ মোড়।৯ জুলাই ২০২১ শুক্রবার বাদ আসর অন্ধ হাফেজ মোড়ের বালুয়াডাঙ্গা জামে মসজিদে জানাজা শেষে তাঁর নিজ বাড়ি সংলগ্ন পারিপারি গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজা ও দাফন কাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন। জানাজা পড়ান তাঁর ছেলে নাবিউল ইসলাম।আগামী ১১ জুলাই ২০২১ রোববার বাদ আসর নিজ বাড়িতে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে দোয়া ও মিলাদে উপস্থিত থাকার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।উল্লেখ্য, তাঁর স্ত্রী প্রায় তিন বছর আগে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার কবরের পাশেই অন্ধ হাফেজকে দাফন করা হয়েছে।এদিকে অন্ধ হাফেজ কবিরাজ মো. আব্দুর রাজ্জাক এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপিসহ বিভিন্ন স্তুরের মানুষজন। এক শোক বার্তায় হুইপ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
মন্তব্য করুন