এম রুহুল আমিন প্রধান
জীবন বাঁচাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সরকার জনগণের পাশে সবসময় রয়েছে এবং থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে না পারলে অনেকেই এ দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারী শ্রেণীর ওই সমস্ত উদ্যোক্তাদের নির্বাচন করে সহজ শর্তে ঋণ বিতরণ করতে হবে। যারা পরবর্তীতে এ ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারে। এসময় তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ পল্লী উন্নয়ন দপ্তরের চেয়ারম্যান কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, গ্রাম পর্যায়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা যেন প্রধানমন্ত্রীর এ ঋণ প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত না হয়। নিজে স্বাস্থ্যবিধি মানুন, অন্যকেও মানতে উৎসাহিত করুন। গত ১৯জুলাই সোমবার ঋণ প্রণোদনার চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে কোভিড ১৯ এর ক্ষতিগ্রস্ত বিআরডিবির সদস্য ভুক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি পল্লী উদ্যোক্তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার আওতায় ১৪ জনের মাঝে ১৯ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়।
বিতরণ এর আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দিনাজপুর ৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার এ কে এম শামীম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থি ছিলেন, বিআরডিবি দপ্তরের হিসাব রক্ষক মোঃ রোকনুজ্জামান, পরিদর্শক মোঃ আশিকুর রহমান, সহকারি মোঃ বজলুর রশিদ, মাঠ সহকারি মোছাঃ বিলকিস বেগম, মাসুদ রানা, শাকিল রানা, মোজাম্মেল হক, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভপতি এম রুহুল আমিন প্রধান, ইটভাটা মালিক তারাজুল ইসলাম তারা প্রমূখ। ইউ সি সি এর সভাপতি কে এম আজিজুর রহমান বলেন, দেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। সরকার এ দূর্যোগে মানুষের সাথে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সংক্রমণ কমাতে কঠোর লকডাউন এর নির্দেশ থাকায় গ্রাম পর্যায়ে পল্লী ক্ষুদ্র ও মাঝারী উদ্যোক্তা যারা রয়েছেন তাদের ব্যবসার উন্নয়নের চাকা ফিরিয়ে আনতে এবং তাদের আর্থিক ভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নবাবগঞ্জ উপজেলায় এ অনুদানের অর্থ তুলে দিলেন সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম সংবাদ কর্মীদের বলেছেন, সরকারের যথাযথ নির্দেশ অনুযায়ী আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। জীবন রক্ষার্থে সকলকে এ দূর্যোগকালীন মুহুর্তে স্বাস্থবিধি মেনে চলতে হবে। ব্যবসায় যাদের ক্ষতি হয়েছে এ অর্থ তাদের অনেকটা সহায়ক হবে বলে দাবি করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা জানান, গ্রাম পর্যায়ে অন্যান্য সদস্যদের খুঁজে বের করে চাহিদা পত্র উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে প্রেরণ করে এ ঋণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন