নবাবগঞ্জে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বাড়তি সেচ দিয়ে আমন ধান রোপন করছে কৃষক I

Spread the love

নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান :
খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুরে বৃষ্টির জন্য হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি মৌসুমে আশানুরূপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জমি শুকিয়ে মাটি ফেটে যাচ্ছে। সাধারণত প্রতি বছর জুন-জুলাইয়ে রোপা আমন রোপণ শুরু হলেও পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় এ বছর সেচ দিয়ে রোপণ করেছে কৃষক।গত বছর একই সময়ে বৃষ্টির কারণে জমিতে হাঁটুপানি জমে থাকায় আমনের চারা রোপণ করা যাচ্ছিল না, এবার সেই জমিতে সেচ দিয়েও পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। তিন-চারদিন পরপর সেচ দিলেও প্রখর রোদের কারণে মাটি ফেটে যাচ্ছে। মাঠে কাজ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ২নং বিনোদনগর ইউনিয়নের কপালদাড়া গ্রামের কৃষক মো. আঃ মোন্নাফ। তিনি প্রায় ১০ বিঘা জমিতে রোপা আমন রোপণ করেছেনএকই উপজেলার ৩নং গোলাপগঞ্জ ইউনিয়নের কালাইচড়া গ্রামের মোঃ সাজ্জাত হোসেন জানান, গত বছরের মতো বর্ষার পানি জমবে, এ ভরসায় সাত বিঘা জমি বর্গা নিয়েছি। কিন্তু এ বছর ঠিকমতো বৃষ্টি না হওয়ায় বিপাকে পড়েছি। পানির অভাবে আমনের চারা নষ্ট হচ্ছে। সেচ দিতে অনেকে বেশি খরচ হচ্ছে। অনেকে পানির অভাবে জমিতে আমন রোপণ করতে পারেনি। উপজেলার ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের ধরঞ্জী গ্রামের মোঃ লুৎফর রহমান জানান, জমি তুলনামূলক উঁচুতে হওয়ায় স্বর্ণা জাতের ধানের রোপণ করেছি। জমি তৈরি, চারা রোপণ, আগাছা পরিষ্কার, এক দফা সার-কীটনাশকও দিয়েছি। চারা তরতর করে বেড়ে উঠছিল। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে থমকে গেছে। মাটি ফেটে যাচ্ছে। এবার অগভীর নলকূপ (শ্যালো মেশিন) দিয়ে পানি দিতে হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ছে। তিন-চারদিন পরপর পানি দিয়েও মাটি ভিজিয়ে রাখা যাচ্ছে না। দ্রুতই মাটি ফেটে যাচ্ছে।৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের পাচগাছী গ্রামের কৃষক সুজন জানান, আমনের চারা রোপণ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে চারাগুলো লাল হয়ে গেছে। চারা কীভাবে বাঁচাবো বুঝে উঠতে পারছি না।দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র সহকারী তোফাজ্জুর রহমান জানান, গত বছর ২৫ জুলাই পর্যন্ত দিনাজপুরে ৫৬৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এবার ২৫ জুলাই পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে মাত্র ১৩৬ মিলিমিটার, যা গত বছরের চেয়ে ৪৩২ মিলিমিটার কম। এ বৃষ্টি রোপা আমন চাষের জন্য খুবই সামান্য। আগস্টে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হবে বলে জানান তিনি।নবাবগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান ২১৭১০ হেক্টর জমিতে এর মধ্য হাইব্রিড উপসি ২১৬০হেক্টোর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।