এ,এল কে খান জিবু # লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
লালমিনরহাটে কালীগঞ্জে হাজারো মানুষের শ্রদ্ধায় সমাহিত হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদের মা শামসুন্নাহার বেগম (৯০)।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বিকালে কালীগঞ্জে তার পারিবারিক কবরস্থানে স্বামী মরহুম বীর মুক্তিযুদ্ধা করিমুদ্দিন আহম্মেদের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। এর আগে বুধবার বিকাল ৩টায় ঢাকায় কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মায়ের জন একজন সন্তানের হক আদায় করতে জানাজার নামাজ পড়ান মরহুমার বড় ছেলে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান আহম্মেদ। এসময় মরহুমার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল নামে।
এর আগে ১১ আগস্ট দুপুর ১২.০০ টায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে(সিএম এইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন।
মৃত্যুকালে তিনি ৬ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে শামসুন্নাহার এর কফিন বহনকারী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এম্বুলেন্সটি ঢাকা থেকে লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জে উপজেলাস্থ তাঁর নিজ বাড়িতে আনা হয়। এসময় বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
সংবাদ পেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত হন মন্ত্রীর বাড়িতে।
এরপর জানাজায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও তার পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, এসময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল হক ভূঁইয়া , রংপুর বিভাগীয় সমাজসেবা অফিসার, লালমিনরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর, জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. মতিয়ার রহমান, এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল মান্নান ও লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহম্মেদ ও এক সংক্ষিপ্ত মন্ত্রী বক্তব্যে বলেন,
আমার সফলতার পেছনে সকল অনুপ্রেরণা ছিল আমার বাবা মায়ের। আপনারা আমার মায়ের জন্য দোয়া করবেন এবং অজান্তেও যদি আমার মা আপনাদের কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে তাঁকে ক্ষমা করে দিবেন।
জানাজা শেষে মরহুমার কফিনে ফুল দিয়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগ, জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
নুরুজ্জামান আহম্মেদ এর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মরহুমার বড় ছেলে নুরুজ্জামান আহম্মেদ বর্তমানে দেশের সফল সমাজকল্যাণ মন্ত্রী।
এছাড়া তাঁর ছেলে একজন কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান , আর একজন রশিদুজ্জামান আহমেদ।
বাবার ঐতিহ্যবাহী করিম উদ্দিন সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল,আর এক ছেলে
বাবার ঐতিহ্যবাহী করিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
উল্লেখ্য, নুরুজ্জামান আহম্মেদ এমপির বাবা করিম উদ্দিন আহমেদ ছিলেন একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি লালমনিরহাট-২ (তৎকালীন রংপুর-৬) আসন থেকে ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে পকিস্তান প্রাদেশিক সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর একই আসন থেকে ১৯৭৩-এর নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
মন্তব্য করুন