দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে আশ্রয়ন কেন্দ্রে পুষ্টিকর ফল ও বজ্রপাত সহনীয় তালগাছের বীজ বপন করলেন জেলা প্রশাসক

Spread the love


মোঃ রেজওয়ানুর রহমান শুভ
দেশ স্বাধীনের পর সরকার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু গৃহহীন অসহায় ভূমিহীন শ্রেণীর মানুষের জমি সহ পাকা ঘর নির্মাণ করে নিবাসীদের মাঝে হস্তান্তর করতে পারেনি কোন সরকার। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা পিতার অঙ্গিকার শতভাগ বাস্তবায়নে ২০২১ সালে কর্মসূচী হাতে নিয়েছেন গৃহহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্প। নিবাসীরা জায়গা জমি ও নিরাপদ বাসস্থান পেয়ে অনেক খুশি। নবাবগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে পল্লীগ্রামে নির্মিত হয়েছে আশ্রয়নের প্রকল্পের জীবনের প্রাপ্তির পর শেষ ঠিকানা। এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে উপজেলা ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নের ভেবটগাড়ী আশ্রয়ন কেন্দ্রের নিবাসী বিধবা কাজলী মুর্মু জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী পালিত না হলে আমার মত অসহায়, ভূমিহীন, আশ্রয়হীন নারী পুরুষ। তারা জানায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে জমি সহ পাকা ঘর পাওয়া বিষয়টি ছিল দুঃস্কর। এঘর পাল্টিয়ে দিয়েছে উপজেলার ৬৭৬টি পরিবারের গৃহহীন উন্নয়নে আলাদা চিত্র। এখন নিরাপদ ভাবে বসবাস করছেন নিবাসীরা। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে গত শনিবার দুপুরে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মাদ জাকী নির্মিত আশ্রয়নের ঘরগুলো পরিদর্শন করে বজ্রপাত সহনীয় তালগাছের চারা সহ করোনাকালীন সময়ে মানবদেহের পুষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রজাতির ফলের চারা রোপনের উদ্ভোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) রেফাউল আজম, থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তাওহীদুল ইসলাম তৌহিদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ পারুল বেগম, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোছাঃ হোসনে আরা বেবি, ৮নং মাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রহিম বাদশা, ৯নং কুশদহ ইউপি চেয়ারম্যান সায়েম সবুজ, মাহমুদপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নুর আলম প্রমূখ। পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক জানান, সরকারি অর্থায়নে নির্মিত এ সমস্ত স্থাপনা তৈরী করতে কোন ধরণের অনিয়ম, দূর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না। সরকার অসহায় মানুষের পাশে সবসময় আছেন এবং থাকবেন। আশ্রয়ন বাসীদের সার্বিক বিষয় দেখভাল করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান, সারা দেশে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণের এই মহাযজ্ঞ প্রতিনিয়ত মনিটরিং করছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে নিজস্ব ঠিকানা অর্থাত্ জমির মালিকানাসহ সরকারি খরচে নির্মিত বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সামনে আরেকটি মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে যাচ্ছেন, যা নজিরবিহীন। প্রায় ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি বাড়িতে থাকবে দুটি বেড রুম, একটা কিচেন রুম, একটা ইউটিলিটি রুম, একটা টয়লেট ও একটা বারান্দা। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি সেমিপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ইটের দেয়াল, কংক্রিটের মেঝে এবং রঙিন টিনের ছাউনি দিয়ে তৈরি সবগুলো বাড়ি সরকার নির্ধারিত একই নকশায় হচ্ছে।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।