অরক্ষিত সীমান্ত– লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামের সীমান্ত পথে আসছে গরু ও মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন পন্য ।

Spread the love

এ,এল,কে খান জিবু,  লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি:
লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন সীমান্তপথে পূর্বের যে কোন সময়ের চেয়ে চোরাকারবারিরা এখন অনেকটা সক্রিয়। বিশেষ করে জেলার হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত পথে বানের পানির মত আসছে গরু, মদ, গাঁজা ইয়াবা, স্কার্ফসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য, কসমেটিক, এমনকি জীবন রক্ষাকারী অনেক ঔষুধও আসছে অবাধে। বডার গার্ড বিজিবি ও পুলিশ প্রশাসনের কঠিন নজরদারীর পরেও বানের পানির মতো ডুকছে ওই সব পন্য বাংলাদেশে। আর এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন বর্ডার এলাকায় বসবাসরত হাতে গোনা দু’ চার জন ব্যাক্তি। পুলিশ ও বিজিবিকে ম্যানেজ করে সীমান্ত পার হয়ে আসা গরু ও মাদকের চালানের ২/১ টা পুলিশ বা বিজিবি’র হাতে ধরা পরলেও বড় অংশই থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।
গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন এলাক ঘুরে জানা গেছে অনেক অজানা তথ্য- জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বনচৌকি, আমঝল, দৈখাওয়া, গেন্দুকুড়ী, সিংগীমারী ও বড়খাতা সীমান্ত এখন অনেকটা চোরাকারবারিদের জন্য নিরাপদ রুট হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। এই সব পথে প্রতিনিয়ত কোন না কোন পন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।
২০২১ সালের  সেপ্টেম্বর মাসের গত   ১৫ দিনে উপজেলার আমঝল ও দৈখাওয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করে গরু ও মাদকের বড় বড় চালান। যার মাত্র ১টি গরু বনচৌকি ক্যাম্পের জোয়ানরা আটক করতে পারলেও গরু ব্যবসায়ীকে ধরতে পারেননি।
জানা গেছে,  গত ১৮ সেপ্টেম্বর ৯০৪ পিলারের নিকট দিয়ে ওই এলাকার সাজউদ্দিন গ্রুপের, মতিয়ার, এনামুল, একরামুল, জিয়া ও মাইদুল সহযোগীতায় মোট-২৭ এবং  ৯০১/৯০২ নং পিলার নিকট দিয়ে  আজিজার গ্রুপের, কানা রতন, মিতু মিয়া, মতিয়ার রহমান ও মজিদ চোরসহ আরও কয়েক জনের সহযোগীতায় আরও ২৮ টি গরু বাংলাদেশে আনা হয়। অপর দিকে আমঝেল এলাকা দিয়ে ৭  কাল্টু গ্রুপ, ময়না, সুজন,শহিদুল হন্ডি,ও একরামুল ৭টি গরু পার করে নিয়ে আসে যার মাত্র ১ গরু আটক করে বনচৌকি ক্যাম্পের বিজিবি’র সদস্যরা। এমন কি ক্যাম্পের সোর্স ম্যানেরাও  গরু ও মাদক চোরাচালানের সাথে জরিত।
এদিকে কয়েক দিন পরেই ২০শে সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় আমঝোল এলাকা ৩০( ত্রিশ) বোতল  মাদকদ্রব্য স্কাফ ও ০৫(পাঁচ) কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এলাকার অনেকেই ( নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান ওই গাজার মালিক জনৈক ইউপি সদস্যের ছেলে সুজন, পুলিশ তাকে ধরেও অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দিয়েছে। এ ধরনের ঘটনা প্রায় প্রতি মাসেই ৫/৭ টি করে ঘটছে। প্রতি মাসেই পুলিশ ও বিজিবি’র বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্যসহ নানা ধরনের পন্য ও গরু উদ্ধার/আটক করলেও কমছে না মাদক, গরু চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য।
যদিও সীমান্তে ভারতীয় অংশে কাঁটা তারের বেড়া রয়েছে। তার পরও চোরাকারবারিরা অভিনব কৌশল ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যবসা। ফলে সচেতন মহল প্রযুক্তি নির্ভর নজরদারী বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করেন।

Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।