এম রুহুল আমিন প্রধান
দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপুর্ণ ভবনের রুমে ক্লাস করছেন নবাবগঞ্জের বিনোদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভবনের ছাঁদ চুয়ে পানি ক্লাসরুমে পড়ে। সবাই ভয়ে ভয়ে থাকে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে সমস্যায় পড়ছে। ১৯৩২ সালে নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। আর ১৯৬২ সালে ১৫/১৭ ফিট মাপের টিনশেড ভবন নির্মান করা হয়। পরে ওই টিনশেড ভবনে ১৯৯৬ সালে ছাঁদ করা হয় বলে জানান প্রধান শিক্ষক মোঃ মজনুর রহমান। ওই ভবনের ৬টি রুম রয়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩৭জন। শিক্ষক সংকটও রয়েছে। ফলে দুই শিফটে ক্লাস নেয়া বলে জানান তিনি। সমাপনী পরীক্ষায় এই স্কুলটিকে কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
৫ম শ্রেনির এক শিক্ষার্থী জানায়, ছাঁদ চুয়ে পানি পড়ে। এতে বই খাতা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই বিদ্যালয়ে নতুন ভবন করার দাবি জানায়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মজনুর রহমান জানান, ঝুকিপুর্নসহ ক্লাস রুমের জায়গা কম হওয়ায় ওই ভবনেই গাদাগাদি করে পাঠদান করাতে হয়। পাশে একটি ভবন থাকলেও শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়। ভবনের ছাঁদ চুয়ে পানি ক্লাসরুমে পড়ে। এতে শিক্ষার্থীরা বই খাতা নিয়ে সমস্যায় পড়ে। এ কারণে বর্ষাকালে বৃষ্টি আসলেই শিক্ষার্থীরা স্কুলে থাকতে চায় না। এবিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের পরিচলনা কমিটির সভাপতি একরামুল হক রুমন জানান, বাধ্য হয়েই ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষেই পাঠদান চলছে। তিনি অচিরেই তদন্ত সাপেক্ষে নতুন ভবন নির্মানের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম জানান, বিনোদনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের মধ্যে একটি ভবন অধিক ঝুকিপুর্ণ। শিক্ষার্থীদের সমস্যা হচ্ছে। এরইমধ্যে ঝুকিপুর্ণ ভবনগুলোর তথ্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
Scroll
মন্তব্য করুন