ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার প্রতারণা মামলার দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী আইমুদ্দিন(৬৫) কে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থেকে আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। আইমুদ্দিন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার ভেকশি গ্রামের মৃত কিসমতুল্লার পুত্র।
ঘোড়াঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রতিবেশী বন্ধু মোজাহার আলী প্রধান ওরফে মোজাকে জমি বিক্রির প্রস্তাব দেয় আইমুদ্দিন। পরবর্তীতে মোজাহার আলীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা গ্রহন করে আইমুদ্দিন। জমি রেজিষ্ট্রি করতে গিয়ে ৪২ শতকের স্থলে ৩৬ শতক জমি দলিলে লেখায় উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ফলে সেদিন জমি রেজিষিষ্ট্র না করে উভয় পরিবারের লোকজন বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে আইমুদ্দিন গোপনে বিক্রিত ৪২ শতক জমি তার ছেলে-মেয়ের লিখে দিয়ে গত ১৮/০৩/২০১৩ইং তারিখে আত্মগোপন করে।
এদিকে আইমুদ্দিনের ছেলে আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় প্রতিবেশী মোজাহার আলী প্রধান সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গুম ও হত্যা মামলা দায়ের করে ।
এ মামলায় আসামী পক্ষ জামিনে থাকা অবস্থায় আইমুদ্দিনের বিরুদ্ধে ৪২০ ধারায় একটি মামলা রুজু করে। প্রতারণা মামলায় আইমুদ্দিনের অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞ আদালত তাকে ২ বছরের সাজা প্রদান করে। অপরদিকে বাদী আব্দুল আজিজের মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ইতিমধ্যে মোজাহার আলী গংরা জামিনে মুক্তি পেয়ে ব্যাপক অনুসন্ধানে আইমুদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের সহায়তা নেয়।
ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে গত রবিবার রাত ২টায় একই উপজেলার নয়াগাঁও গ্রাম থেকে তাকে আটক করে ঘোড়াঘাট থানায় নিয়ে আসে। গতকাল সোমবার প্রতারণা মামলায় পুলিশ ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবু হাসান কবির জানান, গ্রেফতারকৃত আইনুদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ৪২ শতক জমি বিক্রির কথা বলে নগদ ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে কৌশলে জমি তার ছেলে-মেয়ের নামে লিখে দিয়ে নিজেই আত্মগোপনে গেছেন বলে স্বীকারোক্তি দেয়। সে আরো জানিয়েছে, মানিক জেলার দৌলতপুর থানার চরহাট্টা গ্রামের আজাহার আলীর মেয়েকে বিয়ে করার পর পাশ^বর্তী বাকুটিয়ার চরে বসবাস শুরু করে। সেখানে তার একটি সন্তান রয়েছে।
মন্তব্য করুন