দিনাজপুরে ধানের জেলায় উৎপাদনে উন্নত জাতের আম লিচুর ব্যাপক সম্ভাবনা I

Spread the love


নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে এম রুহুল আমিন প্রধান >
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ সহ ১২টি উপজেলায় এ বছর ধানের পাশা পাশি উন্নত জাতের আম লিচুতে উৎপাদনে রয়েছে ব্যাপক সম্ভাবনা। দিনাজপুুর জেলা ধান চাষে প্রসিদ্দ হলেও এখন উন্নত জাতের আম লিচু চাষে এগিয়ে আাছে চাষীরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় উচু শ্রেনির জমিতে ধানের সাথে ধান গম সহ অন্যান্য ফসলের সাথে সাথি ফসল হিসেবে শোভা পাচ্ছে আম চাষ। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর দিনাজপুর জেলায় প্রচুর পরিমান উৎপাদন হবে আম লিচু। চাষীরা জানান গত বছরে আমের উৎপাদন হলে ও করোনার কারনে কৃষেেকর উৎপাদিত আম বিভিন্ন জেলায় পরিবহনের সমস্যা হওয়ায় কাঙ্খিত মুল্য পায়নি তারা। এবছর কমর বেধে মাঠে নেমেছে আম চাষীরা।
মুকুলের ভারেই যেন ভেঙ্গে পড়বে আমের ডাল। মুকুলে ঠাসা আম গাছ হঠাৎ দেখলে এমন ভয়ও জাগতে পারে। কিন্তু এ ভয়ের আড়ালে যে সুখবর হাসে।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ এখন যেদিকে চোখ যায় শুধু মুকুল আর মুকুলের অনিন্দ্য সুন্দর দৃশ্য। পাগল করা মুকুলের গন্ধ আবহমান বাংলার স্বর্গীয় রূপ মেলে ধরেছে নবাবগঞ্জে। এতে দারণ আশাবাদী আম চাষি, ব্যবসায়ী ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।তাদের আশাবাদ, আমের ফলন এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। ইতিমধ্যে কোন কোন গাছে মুকুল ঝড়ে আমের গুটি আসতেও দেখা গেছে।অন্যদিকে, আমের তৃতীয় স্থান অর্জনকারী জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেড়েই চলেছে আমের চাষ। গত কয়েক বছর ধরে নবাবগঞ্জে অব্যাহত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে আম চাষ।এক হিসাবে মতে, গত আট বছরে নবাবগঞ্জে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা বেড়েছে তিন গুন। সেই সঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে আগের চেয়ে অনেক বেশি।এবারও আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে রেকর্ড পরিমাণে। গোপালভোগ, ক্ষিরসাপাত, বোম্বাই, হিমসাগর, ফজলি, আম্রপালি, আশ্বিনা, ক্ষুদি, বৃন্দাবনী, লক্ষণভোগ, কালিভোগ, তোতাপরী, দুধসর, লক্ষনা ও মোহনভোগ জাতের আম বেশি চাষ হয়েছে। গাছে গাছে বাহারী জাতের আম এখন দেশের কোটি কোটি মানুষের রসনা মেটাতে প্রস্তুত হচ্ছে। সব ভেবে চাষিদের মনে উঁকি দিচ্ছে মুনাফার আগাম বার্তা। গাছের মুকুল কীটপতঙ্গের হাত থেকে বাঁচাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।আম চাষি আব্দুর রহিম বলেন, আম গাছে কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক প্রয়োগ, সার ও সেচ প্রদানসহ গাছের পরিচর্যা ছাড়া চাষিদের এখন অন্য কিছু করার ফুসরত নেই। মুকুলে ডায়াথেন এম ও কনফিডর পরিমাণমত পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে, যেন মুকুলে কোন ধরনের পোকার আক্রমণ না হয়। আবার গুটি ধরার পর আরেক দফা স্প্রে করা হবে।ভীমপুর গ্রামের আমচাষী রফিকুল ইসলাম জানান, আমার ৫০ বিঘা আম্রপালী গাছের বাগান রয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজুর জানান, চাষীদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অপর দিকে বীরগঞ্জ উপজেলাা কৃষি কর্মকর্তা আবু রেজা আসাদুজ্জামান জানান, মৌসুম ভিত্তিক সুসাদ্দু ও উন্নত জাতের আম চাষ করে অনেক কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হয়েছে। এ বছরে বীরগঞ্জ উপজেলায় উন্নত জাতের আম চাষ হয়েছে এবং তার দপ্তর থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে আম লিচুর উৎপাদনে সব সময় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যোযোগ করা হলে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেস সোম জানান আমি যোগদান করার পর শুনেছি এ উপজেলায় ব্যাপক আম চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার ৮নং মাহমুদপুর ইউনিয়নে রয়েছে মাহমুদপুর ফল ব্যবসায়ি সমিতি লিমিটেড। কৃষকদেরকে আধুনিক পদ্ধতিতে আম চাষ বাজারজাত করন সহ বিভিন্ন কলা কৌশল বিষয়ে জাইকার অর্থায়নে চাষীদের প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আতাউর রহমান জানান নিরাপদ ও সুসাদ্ধু ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে নবাবগঞ্জে। তিনি ও আমম চাষে কৃষকদের পাশে থাকবেন সব সময়।


Spread the love

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।